অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী দাবি করেছেন, অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে, তার বিনিময়ে তাকে এটা স্বীকার করে নিতে বলা হয়েছিল যে, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ডেমোক্রেটদের ই-মেইল ফাঁস করার সঙ্গে জড়িত নয় রাশিয়া। এই ই-মেইল ফাঁস হওয়াতে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য ডানা রোহরাবাচারের সাক্ষ্যকে উদ্ধৃত করে এ কথা বলেছেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী ব্যারিস্টার এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ডানা রোহরাবাচার ২০১৭ সালে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করে দেয়ার ওই প্রস্তাব দিয়ে তাকে পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশ্যাম এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ডানা রোহরাবাচারকে সাবেক একজন কংগ্রেসম্যান ছাড়া তেমনটা চেনেন না প্রেসিডেন্ট।

এ বিষয়ে অথবা কোনো বিষয়ে তিনি তার সঙ্গে কথা বলেননি কখনো। এটা পুরোপুরি বানোয়াট ও অসত্য অভিযোগ।
আগামী সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি। এ জন্য জেলখানা থেকে তিনি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই মামলার শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হবে কিনা। এ নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে আইনজীবী এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড বক্তব্য রাখেন। তবে তার বক্তব্যকে শুধু হোয়াইট হাউস থেকেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এমন নয়। একই সঙ্গে যে ডানা রোহরাবাচারের কথা বলা হয়েছে তিনি বলেছেন, অ্যাসাঞ্জের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো কথাই হয়নি। এ বিষয়ে তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে সাবেক এই প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এটা অস্বীকার করেছেন যে, ট্রাম্পের পক্ষে তাকে পাঠানো হয়েছিল (অ্যাসাঞ্জের কাছে)। বলেছেন তিনি নিজে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ সময় অ্যাসাঞ্জ কোথা থেকে কীভাবে ওই ই-মেইল পেয়েছেন তা যদি জানান তাহলে ট্রাম্পের কাছে তিনি তাকে ক্ষমা করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ সময় ট্রাম্পের তৎকালীন চিফ অব স্টাফ জন কেলির সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের সহযোগিতা করার ইচ্ছার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে আর কোনো সাড়া পাননি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর