শিগগির কমবে গরমের তীব্রতা

প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দেখা নেই বৃষ্টির। অস্বস্তিকর এই সময়ে নগরবাসীকে ‘সুসংবাদ’ দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানাচ্ছে, শিগগির দেখা মিলবে বৃষ্টির। এতে কমবে গরমের তীব্রতা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘রোদের তীব্রতা আর মাত্র একদিন থাকবে। আগামী পরশু থেকে বৃষ্টি শুরু হবে। তবে তা হবে বিক্ষিপ্তভাবে। এভাবে রোদের মাঝে হঠাৎ করে বৃষ্টি হবে।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ১১ তারিখ থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হবে। এই বৃষ্টি ২০ তারিখ পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কারণ বৈশাখ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুরু হবে বছরের আসল বৃষ্টির মৌসুম।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগরে এখন একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এটি যতই সামনে এগোবে ততই বৃষ্টিপাত বাড়বে।

তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস নিয়ে জনমনে রয়েছে প্রশ্ন। সপ্তাহখানেক আগে  আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, দিনে থাকবে কাঠফাটা রোদ আর বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেই শুরু হবে ঝড়োবৃষ্টি। এরপর থেকে চলবে টানা বৃষ্টি। এভাবে চলবে তিন সপ্তাহের মতো। কিন্তু তার এই পূর্বাভাসের পর বৃষ্টি তো হয়নি বরং শুরু হয়েছে তীব্র খরতাপ। এজন্য অনেকে ঠাট্টা করে বলেন, ‘আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তর যা বলে হয় এর উল্টোটা।’

তবে সবকিছুর পর আবহাওয়ার সংবাদ দেয়ার মতো একমাত্র সংস্থার ওপরই ভরসা রাখতে হয় সাধারণ মানুষের। এজন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস গুরুত্বের সঙ্গে নেন সবাই।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি  বলেন, ‘এত গরমে জান প্রায় যায় যায় অবস্থা। আকাশ হঠাৎ করে খারাপ করলেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। সামনে আবার রোজা এভাবে চলতে থাকলে তো ঠিক সময়ে অফিসও করতে পারবো না।’ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টির আভাসের কথা জেনে তিনি কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। বলেন, ‘যাক, একটু বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমে আসবে।’

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সাতক্ষীরাতে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায় ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর