স্বেচ্ছা আইসোলেশনে সাকিব, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন সাকিব আল হাসান। আর যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেই নিজেকে হোটেলে ‘আইসোলেটেড’ করে রেখেছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। দেখা করেননি মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গেও। সচেতনতা থেকেই নিজে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব। একই সঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশ্যেও দিয়েছেন বার্তা। নিজের ফেবসুক পেজে ভিডিও বার্তায় সাকিব বলেন, ‘আমি মাত্রই যুক্তরাষ্ট্র এসে পৌঁছলাম। যদিও প্লেনে সব সময় ভয় কাজ করেছে একটু হলেও। তারপরও চেষ্টা করেছি, নিজেকে কিভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়।

তারপর যখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছলাম, আমি সোজা একটি হোটেলের রুমে উঠেছি। আমি ওদেরকে অবগত করেছি, এখানে থাকব কিছুদিন এবং আমি যেহেতু ফ্লাই করে এসেছি আমার একটু হলেও রিস্ক আছে। তাই আমি নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছি। যে কারণে আমি আমার বাচ্চার সাথে দেখা করিনি। এটা অবশ্যই আমার জন্য কষ্টের। তারপরও আমার কাছে মনে হয়, আমার এই সামান্য স্যাক্রিফাইসটুকু করতে পারলে অনেক দূর এগুতে পারব। সো, এ কারণেই আমাদের দেশে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের সবারই ছুটি অনেক কম থাকে। তারা চায় আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করতে, ঘোরাফেরা করতে, আড্ডা দিতে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে একত্রিত হতে। যেহেতু আমাদের সময়টা অনুকূলে না, আমি সবাইকে রিকোয়েস্ট করব এই নিয়মগুলো যেন সবাই মেনে চলেন। কারণ আমাদের এই সামান্য স্যাক্রিফাইসটুকু পারে আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে, সুস্থ রাখতে এবং আমাদের নিজেদেরকেও সুস্থ রাখতে ‘

‘এখনই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের সতর্কতাই পারে আমাদের দেশকে সুস্থ রাখতে, আমাদেরকে সুস্থ রাখতে। কিছু সিম্পল স্টেপ ফলো করলে আমার ধারণা, আমরা এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারব এবং আমাদের দেশকেও মুক্ত রাখতে পারব। যেমন- সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সোশ্যাল ডিসটেন্স ম্যান্টেন করা, হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় সঠিক শিষ্টাচার মেনে চলা এবং যদি কেউ বিদেশ ফেরত থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজেকে ঘরে রাখা ও ঘর থেকে যেন না বের হয়, সে সম্পর্কে খেয়াল রাখা। একই সময়ে আপনাকে মনে রাখতে হবে, আত্মীয় স্বজন বা বাইরের মানুষ আপনার সাথে এসে যেন দেখা করতে না পারে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে যা খুবই জরুরি।’

‘আশা করি সবাই আমার এই কথাগুলো শুনবেন এবং কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার, স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে, এগুলো সম্পর্কেও অবগত হবেন এবং সেভাবে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবেন।’

‘আর একটা কথা অবশ্যই বলতে চাই, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমার মনে হয় না এটা কোনো ভালো ফল বয়ে আনতে পারবে। আমি খবরে দেখেছি, অনেকে ৩, ৪, ৫ বা ৬ মাস পর্যন্তও খাবার সংগ্রহ করছেন। আমার ধারণা, খাবারের সংকট কখনই হবে না ইনশাআল্লাহ্‌। আমরা কেউ না খেয়ে মারা যাব না। তাই আমরা আতঙ্কিত না হই। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তই পারে আমাদের এর থেকে রক্ষা করতে। এবং সেটা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সম্ভব। আশা করি সবাই ভালো থাকবেন এবং প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ বা বাড়ির বাইরে বের হবেন না।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর