করোনার তবে সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ হতে কয়েক বছর লাগবে বলছেন চিকিৎসকরা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনা সারাবিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। করোনার জন্য পুরো পৃথিবীতে এখন অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর কবে নাগাদ এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে তাও বলা সম্ভব হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে– করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কতদিন সময় লাগতে পারে।

বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক বলছেন, করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আগামী তিন মাসে কমে যেতে পারে। তবে সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেভাবে লকডাউন করা হচ্ছে ও মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে তা দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

কারণ এতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হবে মারাত্মক। তবে এভাবে বিধিনিষেধ আরোপ না করলে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগবিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ বলছেন, করোনার প্রতিষেধক টিকা আসতে সময় লেগে যাবে ১২-১৮ মাস। আর এই টিকা গ্রহণ করলে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলেও মানুষ অসুস্থ হবে না।

তিনি বলেন, একটি দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকা দেয়া গেলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে না। তবে এভাবে সব কিছু বন্ধ করে রাখাটা সমাধান নয়। তবে এটিও সমাধানের পথ নয়।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমিয়ে ফেলবেন। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। যাতে দেশের খুব কমসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়। দুই বছরের বেশি সময় ধরে এটি করতে পারি, তা হলে দেশের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে। কিন্তু এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।

তবে সম্প্রতি আমেরিকায় এক ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে। যদিও যে কোনো টিকা আবিষ্কার করার আগে সেটি প্রথমে পরীক্ষা করা হয় কোনো প্রাণীর ওপর।

এ ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে প্রথমেই মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল করোনার টিকা। আমেরিকা, চীনের মতো বিশ্বের শক্তিশালী ও উন্নত দেশের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে করোনার টিকা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন। কোভিড-১৯ এর ওষুধ আবিষ্কার এখন বিজ্ঞানদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর