পান চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশের সর্ব উত্তরের কৃষি নির্ভর জেলা পঞ্চগড়ের গ্রামীণ অর্থনীতি দিন দিন চাঙ্গা হচ্ছে। চা, কমলার মতো বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষকেরা। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পান সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। পাহাড়বাড়ি, নালাগঞ্জ, জিন্নাতপাড়া, পাইকানীপাড়া, গইচপাড়াসহ বেশ কিছু গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক চাষির জীবনচিত্র বদলেছে। দুই শতাধিক সদস্যের সমন্বয়ে পান চাষি সমিতি নামে একটি সংগঠনও রয়েছে তাদের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে পঞ্চগড়ে ৩৫ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে।

চাষিরা জানান, প্রায় দেড় যুগ ধরে এ এলাকায় পান চাষ হচ্ছে। একটি বরজে সঠিক পরিচর্যা করলে ২০-২৫ বছর পর্যন্ত অনায়াসেই পান উৎপাদন সম্ভব। বছরে একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় ৫-৬ লাখ টাকা হলেও বিক্রি হয় প্রায় ১২-১৫ লাখ টাকা।

জিন্নাতপাড়া এলাকার চাষি কামাল হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে ৫০ শতক জমিতে পানের বরজ করি। এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে ১২-১৪ হাজার টাকার পান বিক্রি করি।’

একই এলাকার ফজলুল করিম নামে আরেকজন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে পানের দাম কম হলেও উৎপাদন বেশি। তবে শীতকালে পানের বাজার চাঙ্গা থাকে।’

গইচপাড়া এলাকার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহে দুই দিন হাড়িভাসা বাজারে পানের হাট বসে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে পান নিয়ে যায়। চাহিদা ভালো থাকায় বাজারজাত করতে বেগ পেতে হয় না ‘

হাড়িভাসা ইউনিয়ন পান চাষি সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এ এলাকার কৃষকেরা দিন দিন পান চাষে ঝুঁকছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও পারছে না পানের বরজ করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পান চাষিদের জন্য যদি আলাদা কোনো সরকারি ঋণ সহায়তা দেওয়া হতো তাহলে পানের আবাদ আরও বেশি হতো।’

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, ‘পানের চাষ বাড়াতে নানাভাবে চাষিদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। রোগ-বালাই দমনেও কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর