চাল ছোলার দাম আরও বেড়েছে

সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, ছোলা ও চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে। তবে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম। এ ছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যে ছোলা প্রতি কেজি ৭৪ থেকে ৮৪ টাকা বিক্রি হয়েছে তা এ সপ্তাহে ১০ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায়। চিনি গত সপ্তাহে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ৬ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও চড়া ভাব লক্ষ করা গেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা করে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা করে। গত সপ্তাহে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা করে বিক্রি হয়। এ সপ্তাহে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫১০ টাকা করে। খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা করে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা করে। দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম প্রতি হালি ২৬ থেকে ২৮ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এ ডিম বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩২ টাকা করে। সাধারণ মানের প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ২৫০ টাকা। অন্যদিকে নাজির ও মিনিকেট (সাধারণ মানের) প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা করে, উত্তম মানেরটা বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা আর মাঝারি মানের প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়। পাইজাম-লতা (সাধারণ মানের) প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা আর উত্তম মানের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা করে। মোটা, স্বর্ণা, চায়না ইরি প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ৩২, সাদা খোলা আটা প্রতি কেজি ২৪ থেকে ২৬ ও প্যাকেট আটা ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। ময়দা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৪২, ময়দা (খোলা) প্রতি কেজি ৩৪ থেকে ৩৬ ও ময়দা (প্যাকেট) প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। গত সপ্তাহেও এ ময়দা একই দামে বিক্রি হয়। সয়াবিন তেল (লুজ) প্রতি লিটার ৮২ থেকে ৮৪ টাকা, সয়াবিন তেল (বোতল) ৫ লিটার ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকা, সয়াবিন তেল (বোতল) ১ লিটার ১০০ থেকে ১০৬ টাকা, পাম অয়েল (লুজ) প্রতি লিটার ৭০ থেকে ৭২ টাকা ও পাম অয়েল (সুপার) প্রতি লিটার ৭৪ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে ভোজ্য তেল। অন্যদিকে মসুর ডাল প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। ডাল (তুরস্ক-কানাডা-বড় দানা) গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। এ সপ্তাহে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। মাঝারি ধরনের ডাল (তুরস্ক-কানাডা) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা করে। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা করে। নেপালি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা করে। মুগডাল (মানভেদে) প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয় গত সপ্তাহে। চলতি সপ্তাহে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা করে। অ্যাঙ্কর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা করে। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০, রসুন ১৫০ থেকে ২৪০, শুকনা মরিচ ১৫০ থেকে ২০০, হলুদ ১৬০ থেকে ২০০, আদা (আমদানি) মানভেদে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১১০, জিরা প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪৫০, দারুচিনি ৩২০ থেকে ৩৬০ ও এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা করে। ধনেপাতা ১২০ থেকে ১৫০ ও তেজপাতা প্রতি কেজি ১৩০ টাকা। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি টমেটো ৫০ টাকা, সাদা বেগুন ৫০ থেকে ৬০, কালো বেগুন ৬০, শসা ৪৫ থেকে ৫০, কচুর লতি ৬০, পটোল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, ঝিঙা ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, করলা ৫০, কাঁকরোল ৫০, আলু ১৮ থেকে ২০, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ ও কচুর মুখি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘পাইকারি বাজারে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে। যে কারণে আমাদের খুচরা বাজারে বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। বাকি পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর