বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সৌদি আরবের সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যা করতে কানাডায় গুপ্তঘাতকদের একটি দল পাঠিয়েছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র একটি আদালতে দায়ের করা মামলায় এ অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা বিবিসির খবরে জানা গেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পরপরই সাদ আল জাবরি নামে ওই কর্মকর্তাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যা ব্যর্থ হয়েছে। সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরিকে হত্যা করতেই ওই স্কোয়াড পাঠিয়েছিলেন বিন সালমান।
জাবরি প্রায় তিন বছর আগে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন এবং তখন থেকে তিনি দেশটিতে নিরাপত্তা সুরক্ষা ভোগ করছেন।
সৌদি গুপ্তঘাতক দল যখন কানাডার টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করেন, তখন তারা কানাডার সীমান্ত গোয়েন্দাদের নজরে পড়েছিলেন। যে কারণে তাদের হত্যা মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৬১ বছর বয়সি জাবরি সৌদি আরবে ব্রিটেনের এমআইসিক্স’সহ পশ্চিমা গুপ্তচর সংস্থাগুলোর তৎপরতা সম্পর্কে সম্যক অবহিত।
এছাড়া, আগের যুবরাজকে সরিয়ে দিয়ে কীভাবে মোহাম্মাদ বিন সালমান ষড়যন্ত্র করে সৌদি যুবরাজের আসনে বসলেন সে সম্পর্কিত তথ্য ভালো করে জানা আছে সাদ আল-জাবরির। কাজেই তিনি যাতে এসব তথ্য ফাঁস করে দিতে না পারেন সে লক্ষ্যে বিন সালমান তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে জাবরি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
ওয়াশিংট ডিসি’র আদালতে আনীত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর কানাডায় গুপ্তঘাতক পাঠান বিন সালমান। বিমানবন্দরে তাদের কাছে টুকরো টুকরো করার যন্ত্র পাওয়া গেলে কানাডার ইমিগ্রেশন পুলিশ সন্দেহ করে। এরপর আর ওই মিশন সফল হয়নি। এই অভিযোগ সম্পর্কে সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের শেষদিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন প্রখ্যাত সৌদি সংবাদিক জামাল খাশোগি। ওই হত্যাকাণ্ডে মোহাম্মাদ বিন সালমান সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পরও ক্ষমতা ও টাকার জোরে পার পেয়ে যান সৌদি যুবরাজ।