অবসর নয়, বরং আরও ‘ক্ষুধার্ত’ এন্ডারসন

 বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ৩৮ বছর বয়স হয়ে গেছে। এখনো পেস বোলার হিসেবে ২২ গজ মাতাচ্ছেন ইংল্যান্ডের জেমস এন্ডারসন। ইন-সুইং. আউট-সুইং ও রিভার্স সুইং- সবই যেন, তার ডেরায় ভরপুর। বয়সকে আমলে না নিয়ে আরও টেস্ট খেলে যাবার ঘোষণা দিলেন এন্ডারসন। অবসরের কথা ভুলে টেস্ট খেলার জন্য আরও বেশি ‘ক্ষুধার্ত’ বলে জানালেন এন্ডারসন। সম্প্রতি ৩৮ বছর বয়সে পা দিয়েছেন তিনি। এই বয়সে অনেক আগেই পেসাররা ক্রিকেটকে বিদায় বলে থাকেন।

ম্যানচেস্টারে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় ইংল্যান্ড। দলের জয়ের ম্যাচে ৯৭ রানে মাত্র ১ উইকেট নেন। তাই এন্ডারসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে। নিজেও উপলব্ধি করেছেন এন্ডারসন। ওল্ড ট্রাফোর্ডের এই ভেন্যুর এক প্রান্তের নাম এন্ডারসনের নামে। তিনি বলেন, ‘ভালো বল করতে পারেননি।’ তবে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫৯০ উইকেট শিকারি এন্ডারসন জানান, যতদিন সম্ভব, ততদিন খেলবেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘যতদিন সম্ভব, ততদিন আমি খেলতে চাই। এ সপ্তাহের যেভাবে আমি বোলিং করেছি, তাতে আমার কাছ থেকে অবসরের সুযোগটি কেড়ে নেয়া হবে। এটি হবে নির্বাচনের বিষয়। আমি এখনো খেলার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছি। আমার মনে হয়, একটি খারাপ ম্যাচের পর এ সপ্তাহটি আমার জন্য হতাশারই ছিলো। তাই অবসর নিয়ে যে ধরনের ফিসফিস তৈরি হয়েছে, আমার মনে হয় না, এটি সঠিক হচ্ছে।’

প্রথম টেস্টে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে এন্ডারসন বলেন, ‘প্রত্যেকেরই খারাপ ম্যাচ বা সময় আসে, এখনো এমন হচ্ছে। আমি ভালো বল করতে পারিনি এবং অনুভব করেছি, ছন্দের বাইরে ছিলাম। ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমি মাঠে কিছুটা আবেগি ছিলাম, কিছুটা হতাশাগ্রস্তও ছিলাম, এটি আমার কাছে খারাপই লেগেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখন খেলতে শুরু করেছি, তা মনে করিয়ে দিয়েছে। আপনি যখন হতাশ হন এবং কিছুটা রাগান্বিত হন, তখন জোড়ে বল করার চেষ্টা করেন এবং যা আপনাকে সহায়তা করে না। আশা করছি, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে যা লাগে, তা আমি সকলকে দেখাতে পারবো।’

১৫৪ টেস্ট খেলা এন্ডারসন বলেন, ‘আমি মনে করি না, এখন আমার ক্যারিয়ারের কঠিন সময় যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত, আমার ক্যারিয়ারে আরও একটি খারাপ ম্যাচ রয়েছে। আমি কখনোই চাই না, আমার জন্য খারাপ ম্যাচ থাকুক এবং ফিসফিস করে বলি, গুছিয়ে নেয়ার।’

এন্ডারসনের এখন টেস্ট উইকেট সংখ্যা ৫৯০। আর ১০টি উইকেট শিকার করলেই, বিশ্বের প্রথম পেসার হিসেবে ৬শ উইকেট শিকারের মালিক হবেন তিনি। টেস্টে পেসার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটও এন্ডারসনের। এছাড়া ৭টি টেস্ট খেলতে পারলে সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের রেকর্ড স্পর্শ করবেন এন্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটে এন্ডারসনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু কুক দেশের হয়ে ১৬১টি ম্যাচ খেলেছেন।

এন্ডারসন বলেন, ‘আমি আরও ভালো বল করতে চাই এবং ইংল্যান্ডের জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখতে চাই। আমার ক্যারিয়ার জুড়ে এমনই ফোকাস ছিলো এবং এই ফোকাসটি আমি অব্যাহত রাখতে চাই।’ ৬শ উইকেট শিকার নিয়ে এন্ডারসন বলেন, ‘যদি আমি ৬শ উইকেট শিকার করতে পারি, তবে তা দারুণ হবে। যদি তাও করতে না পারি, আমি যা পেয়েছি, তাতেই আমি খুশী থাকবো।’

ইংল্যান্ডের হয়ে কুকের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিয়ে এন্ডারসন বলেন, ‘১৫৪টি, অনেক বড় শোনাচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমার কাছে মনে হয়, আমার মধ্যে এখনও অনেক কিছু বাকী রয়েছে। যদি আমি কুকিকে টপকে যেতে পারি, সম্ভবত আমি তার উপরেই থাকবো।’

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর