চাকরির বয়স ৩৫ না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা

৩৮ বিসিএস পরীক্ষার আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা না হলে সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী জুন থেকে লাগাতার অনশন এবং জুলাইয়ে শাহবাগ চত্বরে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. এম এ আলী বলেন, দেশের সব কিছু পরিবর্তন হচ্ছে অথচ পূর্বের নিয়মে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ রয়ে গেছে।  ননপিএসসির ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশে ১৮ বছর করা হয়েছে। কিন্তু ১৮ বছরে এসএসসি পাশ করা সম্ভব হয়। ছাত্রসমাজ এই অকার্যকর আইন বাতিলের দাবি জানায়।

তিনি বলেন, বর্তমানে দুই বছরের ডিগ্রি চার বছর করা হয়েছে।  সেশনজটসহ অনার্স করতে পাঁচ বা ছয় বছর লাগে। ২৩ বছরের আগে শেষ করা সম্ভব হয় না। আর মার্স্টাস  করতে এক বা দুই বছর সময় পার হয়। তবে কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হবে না।

কেন এই অকার্যকর আইন বহাল থাকবে প্রশ্ন তুলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের মানুষের গড় আয়ুর বয়স বৃদ্ধি পেয়েছে। সে অনুযায়ী চাকরির যোগদানের বয়স নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা নেই। নির্ধারিত কোটা ধারীদের কোটা সুবিধা বাতিল করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ৩৫ এর দাবির উদ্যোক্তা ও ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের’সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, পুরনো সব আইনের পরিবর্তন আনা হলেও চাকরিতে যোগদানের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।

অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু চাকরিতে যোগদানের কেন নয় প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দেশে যুগোপযোগী আইন না থাকায় আমারা পিছিয়ে পড়ছি। দেশের শিক্ষিত তরুণদের ৩০ বছর পরে বার্ধক্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলে দেশে বেকারত্ব কমে যাবে।

ইমতিয়াজ হোসেন আরও বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছি। আগামী বিসিএসের আগে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আমরণ অনশন ও শাহবাগ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। সারাদেশে একযোগে এ আন্দোলন  হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম, মামুনার রশিদ মামুন, নাদীয়া সুলতানা, ইমরান মাসুদ, রুহুল আমিন টিপু, ওয়ারেছ আলী, আমিনুল্লাহ,পান্না, কানিছ ও নাইসসহ আরও অনেকে ।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর