ওমরাহর প্রথম ধাপে নেই করোনা সংক্রমণ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সাত মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় ওমরাহ চালু করেছে সৌদি আরব। ওমরাহর প্রথম ধাপ শেষ হচ্ছে আজ। প্রথম ধাপের দুই সপ্তাহে দৈনিক ছয় হাজার মুসলিম ওমরাহ পালন করলেও কোনো করোনা সংক্রমণ ঘটেনি বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। খবর আরব নিউজের।

আরব নিউজে এক সাক্ষাৎকারে সৌদির হজ এবং ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন জানিয়েছেন, ওমরাহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ওমরাহ পালনকারীদের নিরাপদ রাখতে এমন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত ওমরাহ পালনকারীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। ওমরাহর প্রথম ধাপকে অত্যন্ত সফল হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে শুরু করে ওমরাহ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তাদের প্রতি সর্বোচ্চ নজর দেয়া হচ্ছে।

ওমরাহ পালনকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং প্রত্যেককে ডিজিটাল ব্রেসলেট দেয়া হচ্ছে। চালু করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ। এছাড়া ওমরাহ পালনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে।

গত ৪ অক্টোবর শুরু হয় ওমরাহর প্রথম ধাপ। শনিবার এই ধাপ শেষ হচ্ছে। রবিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে ওমরাহর দ্বিতীয় ধাপ। প্রথম ধাপে দৈনিক ৬ হাজার করে লোক ওমরাহ পালন করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হবে। আর নামাজ আদায় করতে পারবেন ৪০ হাজার মুসল্লি।

তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সৌদির বাইরের মুসল্লিসহ প্রতিদিন ২০ হাজার মুসল্লি ওমরাহ আর ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। চতুর্থ ধাপে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাভাবিক সময়ের মতো মসজিদুল হারাম ও নববীতে নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা। করোনার ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হয়ে গেলে চতুর্থ ধাপ শুরু হবে। এ ধাপে পবিত্র কাবা শরিফ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।

ওমরাহ পালনকারীরা কাবা চত্বরে তাওয়াফ সম্পন্ন করলেও হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা চুম্বনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাবা শরিফের বাইরে অস্থায়ী প্রাচীরের বাইরে থেকে তাওয়াফ সম্পন্ন করছেন তারা। ওমরাহ চলাকালে পবিত্র নগরী মক্কার কাবা শরিফের পুরো আঙিনা প্রতিদিন ১০ বার জীবাণুমুক্ত করার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ওমরাহ পালনে কাবা চত্বরে যাওয়ার আগে প্রত্যেক ওমরাহ পালনকারীকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। প্রত্যেককে বোতলজাত জমজমের পানিও সরবরাহ করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর