Pakistani soldiers patrol next to a newly fenced border fencing along with Afghan's Paktika province border in Angoor Adda in Pakistan's South Waziristan tribal agency on October 18, 2017. The Pakistan military vowed on October 18 a new border fence and hundreds of forts would help curb militancy, as it showcased efforts aimed at sealing the rugged border with Afghanistan long crossed at will by insurgents. / AFP PHOTO / AAMIR QURESHI

আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের নির্মূল প্রয়োজন: ভারত

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটির সীমান্ত এলাকা ডুরান্ড লাইন পেরিয়ে পাকিস্তানে অবস্থিত সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং অভয়ারণ্যগুলোর অবসান ঘটাতে হবে বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে ভারত।

শুক্রবার জাতিসংঘে ‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ বিষয়টি তুলে ধরে ভারত। আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি বলেন, আজ এই মুহূর্তেও আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি এলাকায় লড়াই চলছে। দেশটি থেকে শিশু ও মহিলাসহ বেসামরিক মানুষ আহত ও নিহত হওয়ার খবর আসছে। সন্ত্রাসীরা এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে।

ডুরান্ড লাইনের ওপারে সন্ত্রাসের নিরাপদ অভয়ারণ্যগুলি শেষ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে এর বিকল্প নেই। আল-কায়েদা ও দায়েজের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনেও আগানের সহিংসতায় বিদেশিদের উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। এজন্য দেশটিতে চূড়ান্ত শান্তির জন্য সন্ত্রাসীদের চেইনগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের নির্মূল প্রয়োজন: ভারত

এসময় রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থেকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ভারত-আফগানিস্তানের সম্পর্ক আগে থেকেই ভালো। আফগান সরকার ও দেশটির জনগণের উন্নয়নে ভারত পাশে আছে। কিন্তু আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে থাকতে হবে। দেশটি তখনই সফল হবে যখন ডুরান্ড লাইন হয়ে আর কোনো সন্ত্রাস আফগানিস্তানে প্রবেশ করবে না।

তিরুমূর্তির দাবি, যারা আফগানিস্তানে সন্ত্রাস পাঠায় কিংবা দেশটি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হুমকি তাদের অবশ্যই জবাবদিহির মধ্যে আসতে হবে। আফগানিস্তানকে নিয়ে প্রত্যেকের একটা আকাঙ্ক্ষার জায়গা থাকা দরকার। দেশটিতে সামরিক-বেসামরিক নারী, পুরুষ, শিশু, সংখ্যালঘুসহ সকল নিরীহ মানুষের সুরক্ষা দরকার। আফগানিস্তানকে নিজেরাই একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান প্রতিষ্ঠায় সংঘবদ্ধ হওয়া দরকার। এএনআই।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর