সালথায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষ, হামলা পাল্টা হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা চলমান থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি ও মাঝারদিয়া গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ উভয় গ্রামের ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেট ছুঁড়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে এলাকার প্রভাব বিস্তার ও গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে কুমারপট্টি গ্রামে এসকেন মাতুব্বরের সমর্থকদের সাথে ওমর মাতুব্বরের সমর্থকদের টানা দুই ঘণ্টা সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিকেলে পার্শ্ববর্তী মাঝারদিয়া গ্রামে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আরো অন্তত ৫০ জন আহত হয়। মাঝারদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুজ্জামান সাহিদের সমর্থকদের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুরর রহমান হামিদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার সকালেও উভয় পক্ষের সমর্থকরা আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পৃথক এসব সংঘর্ষে ঘটনায় পুলিশসহ আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রামেই বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

মাঝারদিয়ার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের ছেলে ফারুক হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কুমারপট্টি গ্রামের সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদের সমর্থকরা অংশ নেয়। সংঘর্ষ শেষে সেখান থেকে ফিরে গ্রামে এসে আমাদের সমর্থক হাজী আতিকুর রহমানকে মারধর করে। এ নিয়ে বিকেলে সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার সকালে আমাদের আরেক সমর্থক মিজান শেখ পেঁয়াজের হালি চারা বিক্রি করতে গেলে মাঝারদিয়া বাজারে তাকেও মারধর করে সাহিদের সমর্থকরা। এ নিয়েই ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাঝারদিয়ার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুজ্জামান সাহিদ বলেন, কুমারপট্টি গ্রামের সংঘর্ষ শেষে হামিদ চেয়ারম্যানের সমর্থকরা আমাদের সমর্থক জিনায়েত মোল্যার বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং আমাদের সমর্থকদের ধাওয়া দেয়। এরপর থেকে মূলত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আমি এলাকা শান্ত রাখার জন্য সব সময় পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখছি।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, মাঝারদিয়া গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ১৪টি টিয়ারসেল ও ৩টি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়া করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন আটক করা হয়েছে। এরআগে ১৮ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ও ২টি সাউন্ড গ্রেনেট ছুঁড়ে কুমারপট্টি গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর