ঘন কুয়াশায় বোরো রোপণ ব্যাহত প্রচন্ড শীতে জবুথবু উত্তরাঞ্চলের জনজীবন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর ১১ উপজেলায় ইরি-বোরো আবাদে ব্যাস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশা কাবু করতে পারেনি তাদের। তবে চারা রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ার অপেক্ষা করছেন চাষিরা। এ বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে কিছুটা উচ্ছাস দেখা গেছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার ৬২৫ হেক্টর। বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা আট হাজার ৯১৩ হেক্টর হলেও সাড়ে ১০ হাজার হেক্টরে চারা উৎপাদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৩ হাজার হেক্টর জমি রোপণ করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হালকা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। প্রচন্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ ও গবাদি পশু।
শীতের কারণে ইরি-বোরো রোপণে বিঘ্ন ঘটছে। কয়েকদিন দেরিতে চারা রোপণ করলে পিছিয়ে পড়তে হবে। এজন্য অনেকেই শ্রমিক নিয়ে এখনই চারা রোপণ করছেন।
সদর উপজেলার পাহাড়পুর সরদার পাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘১০ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে হবে। জমি প্রস্তুত করে অর্ধেক জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। এরপর থেকে প্রচন্ড শীত ও কুয়াশা দেখা দিয়েছে। জমিতে চারা রোপণের পর নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। তাই আবহাওয়া ভালো হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে গত কয়েকদিন হলো নওগাঁয় কাজ করতে এসেছেন মামুনুর রশিদ ও সজিব ইসলাম। তারা বলেন, সকালে অনেক কুয়াশা ও শীত থাকে। পানিতে কাজ করতে শরীর হিম হয়ে যায়। অনেক সময় আগুন পোহাতে হয়। এতো শীতের মধ্যেও পেটের তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করে সাড়ে ৩শ’ টাকা পাওয়া যায়। শীতের কারণে কাজ করতে না পেরে দু’দিন বসে ছিলেন তারা।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল ওয়াদুদ বলেন, আবহাওয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের চারা রোপণের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে। এবার ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ধানের আবাদ বেশি হবে এবং কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর