কমেনি তেলের দাম, চোখ রাঙাচ্ছে মুরগি গরু

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও ১০ দিনে তার প্রভাব খুব একটা পড়েনি খুলনার বাজারে। আগের মতো বর্ধিত দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। তবে আলুর দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও পেঁয়াজের দাম একটু বাড়তির দিকে।

অন্যদিকে শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে ফার্মের মুরগির। সেইসঙ্গে গরুর মাংসের দামও কিছুটা বেড়েছে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা নগরীর খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, এখনও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের সয়াবিন ৬৩০ থেকে ৬৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭ ফেব্রুয়ারির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেটে ১০৭ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১১০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা বিক্রি করার কথা। বোতলজাত সয়াবিনের মিল প্রতি লিটার গেটমূল্য ১২৩ টাকা, পাইকারি মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে হিসাবে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা নির্ধারিত হয়। আর পাম সুপার তেল প্রতি লিটার মিল গেটে মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নগরীর বাবুখান রোডের রহমত স্টোরের বিক্রেতা রহমত জানান, সরকার নির্ধারিত দরে তেল বিক্রি করা সম্ভব নয়। কারণ বাড়তি দরে তাদের তেল ক্রয় করা রয়েছে।

মৌলভীপাড়া সাহেব আলী মোড়ের এসবি স্টোরের মালিক আকবর হোসেন জানান, সরকার ইচ্ছা করলে সবকিছু করতে পারে। সিন্ডিকেট করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগে থেকে তেল মজুত করে রেখে বাজারকে অস্থির করে রেখেছে।

নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের মালেক স্টোরে কথা হয় গৃহিনী নাজমা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, প্রতিমাসে তার আট লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গত দু’মাস ধরে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছেন। তিনি মাসে দু’বার করে তেল ক্রয় করতে আসেন। কারণ আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন মিল খুঁজে পাচ্ছেন না। তাছাড়া তিনি প্রশাসনকে প্রত্যেকটা মোড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের তালিকা টাঙানোর অনুরোধ করেন।

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ফার্মের সব ধরনের মুরগির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।

কারণ জানতে চাইলে মুরগি বিক্রেতা আবু হোসেন জানান, এখনইতো দাম বাড়ার সময়। তাই দাম বেড়েছে।

মুরগির কোনো কমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শীতের সময় ব্যবসায়ীরা লস খেয়েছে, তাই এখন পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছে সবাই।

একই বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা হাবিব, রাজা জানান, বর্তমানে গরুর একটু সংকট রয়েছে, তাই গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০ টাকার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই বাজারের মসলা বিক্রেতা আব্দুল্লাহ জানান, বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই তবুও ব্যবসায়ীরা কেজিতে ২/১ টাকা বাড়ানোর পায়তার করছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর