বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আট পর্বের মধ্যে দুই পর্বের ভোট শেষ হয়েছে; আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তৃতীয় পর্বের ভোট। এ পর্বে ভোট অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার ৩১ আসনে। এই আসনগুলোয় এবার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দুদলেরই বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এই আসনগুলোয় ২০১৬ থেকে ২০১৯-এ বিজেপির ভোট বেড়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালে এই ৩১ আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জিতেছিল তৃণমূল। এ কারণে তৃণমূল চাইলে ২০১৬ সালের ভোটের ফলই ফিরে আসুক আর বিজেপি চাইছে লোকসভা নির্বাচনে তাদের যে ভোটবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে, সেই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকুক। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
এদিকে গতকালই প্রথম তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন জয়া বচ্চন। বিজেপির তারকাদের ভিড়ে তৃণমূল এবার জয়াকে নিয়ে এসেছেন। গতকাল প্রচারে নেমেই জয়া বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বাংলায় গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই একা করছেন মমতা। ওর মাথা ফাটিয়ে, পা ভেঙেও থামাতে পারেনি বিরোধীরা। কিন্তু তার মন ভাঙতে পারেনি। সমাজবাদী দলের সাংসদ জয়া বচ্চন নিজেকে ‘বাংলার মেয়ে’ হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি জয়া বচ্চন, আগে জয়া ভাদুড়ি ছিলাম, বাবার নাম তরুণ কুমার ভাদুড়ি, আমরা প্রবাসী বাঙালি। শুদ্ধ বাংলায় তিনি বলেন, অভিনয় করতে আসি। যে কাজ দেওয়া হয়েছে তা পালন করতে এসেছি। ইতোমধ্যে বিজেপি জনপ্রিয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রচারে নামিয়েছে। এর পরই তৃণমূলের মঞ্চে জয়াবের আবির্ভাব।
এদিকে মমতা গতকাল হুগলি জেলার জনসভায় দিল্লির জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনসভায় তিনি বলেন, এক পায়ে বাংলা জয় করব, দুই পায়ে দিল্লি। তিনি বলেন, বিজেপিকে বাংলা ও দিল্লি থেকে সরানোর একমাত্র তৃণমূলই ভরসা। গতকাল জনসভায় ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীকেও ‘গাদ্দার’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা। মমতা জোর দিয়ে বলেন, বাংলার সংখ্যালঘু ভোট কোনো দিনও ভাগ হবে না। কারণ সব সংখ্যালঘু ভোট পড়বে তৃণমূলে। প্রসঙ্গত আব্বাসের নতুন দল ইন্ডিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবার কংগ্রেস ও বামদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আব্বাস নির্বাচনে ভালো করার অর্থ হলোÑ তৃণমূলের ক্ষতি এবং বিজেপির পোয়া বারো। কারণ আব্বাস মূলত সেখানকার মুসলমানদের ভোটে টান দেবেন, যেটি এতদিন তৃণমূলের ‘ব্যাংক’ ছিল। এবার নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূল কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। বিজেপি আদাজল খেয়ে লেগেছেÑ যে করেই হোক রাজ্যে সরকার গঠন করতে হবে। আর তৃণমূল ‘অস্তিত্ব’ লড়াইয়ের অংশ হিসেবে সরকার টিকিয়ে রাখতে চাইছে।
উল্লেখ্য, আট পর্বের ভোট শেষ হবে ২৯ এপ্রিল আর ফল ঘোষণা হবে ২ মে।