বিএনপির অপরাজনীতিতে বিভ্রান্তির কারণে করোনা বাড়ছে: ওবায়দুল কাদের

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি নির্মম ও নির্লজ্জ রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) একবার বলে লকডাউন দিতে হবে, আবার বলে লকডাউন দিলে মানুষ খাবে কী? বিএনপির এমন দ্বিমুখী নীতি এবং করোনা নিয়ে অপরাজনীতি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর এজন্যই ক্ষেত্রবিশেষে সংক্রমণের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

মহামারিকালে বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার হটানোর নামে ধান ভানতে শীবের গীত গাইছেন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন অসহায়, কর্মহীন, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে সতর্ক করছে, তখন বিএনপি তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক মিত্রদের নিয়ে দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। দেশের সম্পদ জ্বালিয়ে দিচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে অগ্নিসন্ত্রাসের জনক বিএনপি। আর এই সন্ত্রাসের আগুনে একসময় তাদের নিজেদের ঘরও পুড়বে। নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন হেফাজতের ওপর ভর করছে। এজন্য বিএনপির অপরাজনীতি বুমেরাং হতে বাধ্য।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি সরকার হটাতে ছাত্র ও শ্রমিকদের ঐক্যের কথা বলছেন, কিন্তু তারা ছাত্র-শ্রমিকদের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। জনগণেরও কোনো আস্থা পাচ্ছে না। বিএনপির এখন রাজনৈতিক আইসোলেশন দরকার।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করছে। আর বিএনপির বক্তব্যে প্রমাণ হচ্ছে তাদের দলের লেজে-গোবরে দশা। জনগণ মনে করে, বিএনপি নেতাদের মনোজগতে ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বাসা বেঁধেছে। বিএনপি করোনার চেয়েও ভয়াবহ ভাইরাসে আক্রান্ত, যার লক্ষণ নেতিবাচকতা, মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর আগুন সন্ত্রাস।’

ব্রিফিং শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা সড়ক জোনের অধীনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে ৮ লেন বিশিষ্ট নতুন সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর এবং নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতুটিও এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘৮ লেন সেতু ছাড়াও সেতুর দুই প্রান্তে প্রায় দেড় কিলোমিটার সংযোগসড়ক নির্মাণ করা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় দুইশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে ২৩৩ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতু।’

তিনি বলেন বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার সড়কে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মহানগরে বেশিরভাগ পরিবহন নিষেধাজ্ঞা মানলেও অনেক পরিবহন মানছে না। কেউ কেউ নির্দিষ্ট এলাকা এবং নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও পরিবহন চালাচ্ছে। সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কেউ যদি শর্ত উপেক্ষা করে তবে সরকার আবারও কঠোর হতে বাধ্য হবে।’

এসময় ওবায়দুল কাদের দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ১৮ দফা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১ দফা নির্দেশনাসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর