বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউনের’ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে রিকশা ও প্রয়োজনীয় বাহনে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত যারা রয়েছেন তারা কাজে বের হয়েছেন। এদিকে কঠোর লকডাউনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সড়কে বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এবার বিধিনিষেধ ‘কঠোর’ই করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলেছে পুলিশ। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনীও। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্বাভাবিক দিনের মতোই চলাচল করছে ব্যক্তিগত যানবাহন, বাস, ট্রাক ও পিকআপ। তবে রাতের দিকে মহাসড়কে বাসের সংখ্যা বেশি ছিল। আর যে সকল বাস বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ভোরে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে সেগুলোও মহাসড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে।
মহাসড়কে চলাচল করা চালকরা জানান, রাতে প্রশাসনের তেমন নজরদারি থাকে না। অনেক সময় মানবতার খাতিরে গাড়ি ছেড়ে দেয়। যে কারণে রাতে পরিবহন চালানো সুবিধা। তবে দিনের বেলায় প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকে। ফলে জেল-জরিমানার ভয় থাকে। তারা আরও জানান, জীবিকার তাগিদে এভাবেই লুকোচুরি করে পরিবহন চলাতে হবে। না হলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।