ইতালিয়দের উপর ইংল্যান্ড সমর্থকদের হামলা, স্টেডিয়ামের বাইরে তাণ্ডব

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনার দৌরাত্ম অনেকটাই থেমে গেছে ইউরোপে। সামাজিক বিধিনিষেধ সব শিথিল সেখানে। যে কারণে ইউরোর ফাইনাল দেখতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল গ্যালারি।

আর যারা টিকিট পাননি। তারা রাস্তায় নেমেছিলেন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার রাত ১টায় গ্যালারিপূর্ণ দর্শক নিয়ে ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ইতালি।

টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরো কাপের শিরোপা ঘরে নিয়ে গেল ইতালি।

ইংল্যান্ডের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই লন্ডনজুড়ে গত কয়েকদিন ধ্বনিত হয়েছে ‘ইটস কামিং হোম’। ফাইনালের দিনও হাজার হাজার থ্রি লায়ন্স সমর্থক মাঠের বাইরে দলকে সমর্থন দিয়েছে। তবে তাদের এ সমর্থন কলঙ্কিত করেছে ইংলিশ ফুটবলকে।

এদিন ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন মদ্যপ। যারা রাস্তায় ও ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের গেটগুলোতে তাণ্ডব চালিয়েছে।

ম্যাচের আগে মাঠের বাইরে সহিংসতায় জড়িয়েছেন ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। টিকিট না থাকার পরেও মাঠে ঢুকতে জোরজবরদস্তি করেছে তারা। পুলিশের বাধায় পড়ে ক্ষেপে যায় ইংলিশরা। পুলিশকে হটিয়ে জোরপূর্বক স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে সেটিও না পারলে বিয়ারের বোতল ছুড়ে মারেন পুলিশের ওপর।

এ সময় স্টেডিয়ামে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ মাঠে নামে। মদ্যপ ও বিশৃঙ্খল জনতাকে বাগে আনতে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনীর।

পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।

শুধু ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারেই নয়, মদ্যপ অবস্থায় স্টেডিয়ামের বাইরে বাসে তাণ্ডব চালিয়েছে অনেক সমর্থক।

এমনকি ইতালি থেকে ফাইনাল খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের উপরেও চড়াও হন বেশকিছু উগ্র সমর্থক।

সেসব দৃশ্য প্রচারিত হয়েছে গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যারা টিকিট পাননি তাদের জন্য বড় স্ক্রিনে খেলা উপভোগের সব ব্যবস্থাই করে রেখেছিল লন্ডন প্রশাসন।

স্টেডিয়ামের পাশেই লেস্টার স্কোয়ারে বানানো হয়েছিল ফ্যানজোন। আর সেই ফ্যানজোনে গিয়েও মদ্যপ সমর্থকরা তাণ্ডব চালিয়ে সব ভেঙে চূরমার করে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ফ্যানজোন।

 

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর