রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পল্লীকে একটি মডেল পল্লী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: এমপি তৌফিক

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী ৬৯টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, কোভিড-১৯ টিকার রেজিস্ট্রেশন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) মিঠামইন উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা মোহাম্মদ শামীম আলম।

কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)।

এতে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল ইসলাম সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান, জেলা পরিষদের সদস্য বাবু সমীর কুমার বৈষ্ণব, মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শরীফ কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রব্বানী,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল সাফি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাফিউল ইসলাম, উপজেলা  প্রকৌশলী ফাইজুর রাজ্জাক, উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা আকাশ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোল্লা খলিলুর রহমান, আইসিটি কর্মকর্তা ইমাম মেহেদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান জানান, হামিদ পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর ৬৯টি ঘর ছাড়াও রাজস্ব তহবিলের ২টি ঘর, আল খায়ের ফাউন্ডেশনের ৩টি ঘর, জেলা পরিষদ থেকে ১টি ঘর ও ডিএসকে থেকে ২টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কেওয়ারজোড় ইউনিয়নে আরো ২০ ঘরের নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের এখানকার ঘরগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। যদি বরাদ্দ একটু বেশি পাওয়া যেতো তবে আরসিসি পিলার স্থাপন করে ঘর নির্মাণ করলে আরো টেকসই হতো। এ পর্যন্ত এখানে কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে হামিদ পল্লীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে গৃহহীনদের জন্য।

প্রতিটি পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ সকল ঘরের সঠিকভাবে যতœ নিতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হামিদ পল্লীতে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে একটি মন্দিরও করা হবে। বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে উপকারভোগীদের  জন্য ৭টি টিউবওয়েল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পরে তিনি ৫৮নং ঘরের সামনে একটি গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি উপস্থিত উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন।

উপকারভোগীরা ঘর ও জায়গা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত ও খুশি বলে জানান।

সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক আরো বলেন, কোরবানী ঈদের সময় প্রতিটি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও কোরবানীর মাংস বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পল্লীকে একটি মডেল পল্লী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলেও সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর