স্থগিত ইউপির ভোট চলতি মাসেই অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় ধাপের, ইসির বৈঠক আজ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ গিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট চলতি মাসেই। আর আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে ইউপির দ্বিতীয় ধাপের ভোট। করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ এখন নিম্নমুখী-এ সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইতিমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ সারা দেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দ্রুত শেষ করবে কমিশন। অতীতে ছয় ধাপে হয়েছিল ইউপির ভোট। এবারে ইউপি নির্বাচন করার জন্য একটি পথনকশা তৈরি করেছে কমিশন সচিবালয়। সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় সচিবালয়ের তৈরি খসড়া উত্থাপন করা হবে। সভায় আলোচনার পর স্থগিত ইউপিসহ বাকি মেয়াদোত্তীর্ণ সব ইউপির তপশিল দেবে ইসি।

ইসির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা বলছেন, স্থগিত ইউপি নির্বাচন হবে সেপ্টেম্বরে। বাকি নির্বাচনের পরবর্তী ধাপের ভোট শুরু হবে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। এভাবে কয়েক ধাপে শেষ হবে তৃণমূলের মূলভিত্তি ইউপির এ ভোট। তবে সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। এ কারণে নির্বাচনের প্রচারসহ কিছু বিষয়ে শর্তারোপ হবে। সীমিত পরিসরে চলবে সভা-সমাবেশ, জন-সমাগম এড়িয়ে চালাতে হবে প্রচার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানায় থাকবে কড়াকড়ি।

সিলেটের এক উপজেলা ও ২১ ইউপিতে নির্বাচন আজ

এ ছাড়া শারীরিক প্রচারের বিকল্প হিসেবে সামাজিক মাধ্যম ও ডিজিটাল প্রযুক্তির তাগিদ থাকবে এবারে। এই নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সদর ইউপিগুলোতে এ প্রযুক্তিতে নির্বাচন হবে।

করোনার মধ্যেও এই নির্বাচন আয়োজনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, স্থগিতসহ মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপি নির্বাচন করার জন্য মন্ত্রণালয় আলাদা করে চিঠি পাঠাবে না। কমিশন সময়সুযোগ অনুযায়ী সম্পন্ন করবে-এসব নির্বাচন। আমরা চাই, তারা যে নির্বাচনই করুন সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হোক। সম্ভব হলে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার জন্য নিদের্শনা দিতে পারেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী, জাতীয় পার্টি-জাপাসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন দলীয় প্রতীকে। তবে বিএনপি দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন বর্জন করেছে। সমর্থকরা মাঠে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে।

৩ আসনে উপনির্বাচন পেছালগত ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির তপশিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে ভোটের তারিখ পুনর্নিধারণ করে ২১ জুন করা হয়। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। এর আগে গত ২১ জুন বাকি ২০৪টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর