একটি চিঠিই পরীমনির সকল শক্তির উৎস!

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির বাসায় র‌্যাবের অভিযান থেকে শুরু করে, তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা, রিমান্ড, কারাদণ্ড ও কারামুক্ত হওয়া পর্যন্ত সবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘ ২৭ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে জামিনে কারামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি। এক মাসের বেশি সময় পর ফেসবুকে ফিরে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন পরীমনি। একটি চিঠির ছবি পোস্ট করেন তিনি। ক‌্যাপশনে জানান, এই চিঠি তার সকল শক্তির উৎস।

চিঠিটি পরীমনির নানা শামসুল হকের লেখা। পরীমনির পোস্ট ক রা সেই চিঠিতে দেখা যায়, সেখানে তাকে উদ্দেশ্য করে নানা শামসুল হক লিখেছেন- ‘নানু, আমি ভালো আছি, কোনো চিন্তা করবা না। শিগগিরই তোমার সাথে দেখা হবে।’ চিঠির নিচে সাক্ষরও করে দিয়েছিলেন নানা।

পরীমনি জেলে থাকাকালীন তাকে এই চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার নানা শামসুল হক। আদালতে পরীমনিকে দেখতে গিয়েছিলেন তার নানা। প্রথমদিন পরীমনির দেখা না পেলেও পরে কথা বলার সুযোগ পান পরীমনির সঙ্গে।

বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে বের হয়ে মুক্ত হয়েছেন পরিমনি। কারাফটকে নায়িকা কে বহন করা গাড়িটি আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘিরে ধরে উৎসুক জনতা। পরে গাড়ির সানরুফ খুলে দাঁড়িয়ে পড়েন পরীমনি। উৎসুক জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা গেছে তাকে। এ সময় হাত মেলানো এবং সেলফিও তুলেছেন পরীমনি। তার চোখে ছিল উচ্ছ্বাস, মুখে সেই চিরচেনা হাসি। পরীমনির ডান হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল, ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। শয়তানদের দূরে থাকার কথা বলছেন পরীমনি! কারাগার থেকে বেরিয়ে এমন বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ঢালিউডের এ নায়িকা।

জেল থেকে বেরিয়ে পরীমনি জানিয়েছিলেন, ‘কোনো অনুভূতি নেই। অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছি। আমার যে রেগুলার লাইফ, সে লাইফ তো ছিল না। পুরোপুরি অন্য একটা জীবন। যে জীবনের কথা অন্য একদিন বলব। এই ২৭ দিনের জার্নি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে মাদকসহ পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‌্যাব। এরপর ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর