ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ সারাদেশে সব নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মঙ্গলবার রাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে নৌপথে সব নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

এর আগে একই কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। জেলাগুলো হলো পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব দিকে বরিশাল ও চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে। এর বাতাসের গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া দপ্তর ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দিয়েছে বলে জানান এনামুর রহমান।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি এখন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুন্দ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপৎসংকেত এবং কক্সবাজারে ছয় নম্বর ও মংলা বন্দরে পাঁচ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অধিদপ্তর বলছে, দুপুর ১২টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুন্দ্রবন্দর থেকে ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষরাত থেকে সকালের মধ্যে মেঘনার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর