বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিকদের হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন হলিউড অভিনেত্রী ও জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি বলেন, আটকে পড়া নিপীড়িত গোষ্ঠীর ওপর বোমা ফেলছে ইসরায়েল, এই অসহায় মানুষগুলোরে কোথাও পালানোর জায়গা নেই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত ৭ অক্টোবর শনিবার ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার নিয়ে সরব জোলি। নিপীড়িত গাজাবাসীদের দেখেও চুপ থাকতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল অপরাধ করছে। আটকে পড়া জনগোষ্ঠী, যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাদের ওপর ইচ্ছা করে বোমা ফেলছে।
হলিউড এই অভিনেত্রী বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার হচ্ছে গাজা উপত্যকা। আর এখন সেটা রুপ নিচ্ছে গণ কবরস্থানে। নিহতদের ৪০ শতাংশই নিরপরাধ শিশু। পুরো পরিবারেরই মৃত্যু হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্ব শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে। অনেক সরকার তো ফিলিস্তিনি বেসামরিক যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু-তাদের ওপর হওয়া এই সামষ্টিক সাজাকে সরাসরি সমর্থনই করছে। অথচ এখানে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ হচ্ছে। বেসামরিকরা খাবার ও ওষুধও পাচ্ছে না।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি না মেনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তা আটকে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বিশ্বনেতারাও এই অপরাধে যুক্ত হচ্ছেন।