হজের নিবন্ধনে দিতে হবে ২ লাখ টাকা

২০২৪ সালের হজ নিবন্ধন বুধবার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩১ জন আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।

এবার বিমান ভাড়া ও সৌদি আরবে ব্যয়সহ সর্বনিম্ন ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে এ নিবন্ধন করতে হচ্ছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী মৌসুমে হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শর্তসাপেক্ষে ৭৮৬টি এজেন্সির প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ লাখ ৯৬ ক্রমিক পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিতরা আবেদন করতে পারবেন।

নিবন্ধিতদের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ব্যাংকে ফি জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

২ নভেম্বর সরকারিভাবে এবারের হজের সাধারণ ও বিশেষ দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক। সাধারণ প্যাকেজ ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজ ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। ১৪ নভেম্বর বেসরকারিভাবে সাধারণ প্যাকেজ ঘোষণা করে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। তাদের প্যাকেজে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা, দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।

ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ প্যাকেজের নানা সুযোগ সুবিধা ও উলি­খিত শর্তাবলির সঙ্গে একমত হলে নিবন্ধন করার পরামর্শ দিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিবন্ধনের পর প্যাকেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না। নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। যে কোনো তথ্য জানতে ফোন করা যাবে ১৬১৩৬ নম্বরেও।

সরকারিভাবে হজযাত্রীদের ই-হজ সিস্টেম.ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপস, সকল ইউডিসি.ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয় এবং ঢাকায় হজ অফিসে নিবন্ধন ভাউচার তৈরি করা যাবে। সোনালী ব্যাংকে নিবন্ধনের টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সনদ নিতে হবে।

বেসরকারি হজযাত্রীদের জন্য অনুমোদিত হজ এজেন্সির হিসাবে ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে হবে। হজযাত্রী তার নিবন্ধিত এজেন্সি থেকে বিমান টিকিট সংগ্রহ করবে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ এর বিধি ১১(২) অনুযায়ী হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা উলে­খ করে হজযাত্রীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর