পানিপ্রবাহে বাধা ইটভাটা মালিকের, কৃষকদের সর্বনাশ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কালভার্ট বন্ধ করে পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করায় বিস্তৃত জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে আমন ধানসহ শাকসবজি পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী এলাকায় মজুমদার ব্রিকস নিজেদের সুবিধার জন্য কালভার্ট বন্ধ করায় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর বৃষ্টির সময় দেড়কোটা ও ছাতিয়ানী এলাকার ফসলি জমির পানি চৌদ্দগ্রাম-বাঙ্গড্ডা সড়কের কালভার্ট দিয়ে উত্তর পাশের খালে পড়ে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে দেড়কোটা এলাকায় মজুমদার ব্রিকস্ কর্তৃপক্ষ নিজেদের সুবিধার্থে কালভার্ট বন্ধ করে সরু পাইপ বসিয়ে পানিপ্রবাহে বাধা দেওয়ায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত শুক্রবার সারাদিন ঘূর্ণিঝড় মিথিলির কারণে বৃষ্টিপাত হয়। এতে দেড়কোটা ও ছাতিয়ানী এলাকার ফসলি জমিতে প্রচুর পানি জমে যায়। স্বাভাবিক পানিপ্রবাহিত হতে না পারায় বিস্তৃত জমির ফসল পানি ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, মজুমদার ব্রিকসের মালিক আহসান মজুমদার নিজের স্বার্থে কালভার্ট বন্ধ করে পানিপ্রবাহে বাধা দেয়ায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলি জমির ক্ষতি থেকে বাঁচতে কালভার্টটি পুনরায় চালুর দাবি জানান কৃষকরা।

ইউপি সদস্য মাহফুজ মজুমদার বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনে বাধা প্রদান করায় অন্তত কয়েকশ একর জমির ফসল পানিতে ভাসছে। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’।

কালভার্ট বন্ধ করা মজুমদার ব্রিকসের মালিক আহসান মজুমদার বলেন, ‘এটা কালভার্ট নয়। বহু আগে পানি নিষ্কাশনের জন্য চৌদ্দগ্রাম-বাঙ্গড্ডা সড়কে একটি পাইপ ছিল। পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। আমি নিজ খরচে পাইপ প্রতিস্থাপন করে আমার জায়গার ওপর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করি’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন’।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর