জলঢাকায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ ঘরে আগুন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কইমারি ইউনিয়নের বিন্নাকুড়ি পুর্বপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে। আহতদের জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চারজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি পক্ষ অপর পক্ষকে ফাঁসাতে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিন্নাকুড়ি গ্রামের অজিত চন্দ্রের ছেলে কেসব চন্দ্র তার বাড়ির পাশে ৩৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। কেশব চন্দ্র ঢাকায় চাকুরী করার সুবাধে ওই জমিটুকু তার চাচাতো ভাই দুলাল চন্দ্র ও শরত্ চন্দ্রের কাছে বন্ধক রাখে। গত  কয়েকদিন আগে কেসব চন্দ্র রায় ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে জমি বন্ধকের টাকা ফেরত্ দিয়ে জমিটুকু নিজে চাষাবাদ করবে বলে তার চাচাতো ভাইদের জানায়।
কথামতো কেসব চন্দ্র তার জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। কিন্তু হঠাত্ করে কেশবের চাচাতো ভাই দুলাল ও শরত্ ওই জমির অংশিদারিত্ব দাবী করে। এতে করে দু পক্ষের  মধ্যে কথাকাটাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে দুইজন আহত হয়। আহতরা হলো রণজিত্ (২০) অজিদ চন্দ্র (৫০)। এসময় বাবার আহত হবার খবর শুনে কেশব চন্দ্র মোটর সাইকেল যোগে বাড়িতে আসলে দুলাল চন্দ্র, শরত্ চন্দ্র, ও হেম চন্দ্র কেশব চন্দ্রের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে তাঁকে মারপিট করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
আহত কেশব চন্দ্রের চিত্কার শুনে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রে ভর্তি করে। এদিকে কেশবকে হত্যার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে পরে নিজেঁরাই বাঁচার জন্য শরত্ চন্দ্র ও দুলাল চন্দ্র তাদেঁর নিজ ঘরে আগুন দিয়ে তাদের বাবা হেমচন্দ্রের হাত ব্লেড দিয়ে কেঁটে তাকে জলঢাকা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেশব চন্দ্র রায় বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর