কিশোরগঞ্জ-১ স্বস্তিতে আওয়ামী লীগ মনোনয়নযুদ্ধ বিএনপিতে

বাঙালী কন্ঠ নিউজঃ কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন। প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরের একদিকে ভিভিআইপি প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, অন্যদিকে বহুধা বিভক্ত বিএনপিতে মনোনয়ন নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। এই আসনের টানা চার বারের সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও এর আগের তিনটি নির্বাচনেই তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি প্রার্থী মো. মাসুদ হিলালী।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১২ হাজার ৩২০ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী মো. মাসুদ হিলালীকে পরাজিত করেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পান ৫১ হাজার ৯১১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মাসুদ হিলালী পান ৩৯ হাজার ৫৯১ ভোট। ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ৯ হাজার ৫৭৯ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী মো. মাসুদ হিলালীকে পরাজিত করেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পান ৮২হাজার ৬২ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মাসুদ হিলালী পান ৭২হাজার ৪৮৩ ভোট। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ৭১ হাজার ৯৮৫ ভোটের বিশাল ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী মো. মাসুদ হিলালীকে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ দেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পান এক লাখ ৭২ হাজার ৬৫ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মাসুদ হিলালী পান এক লাখ ৮০ ভোট।
স্থানীয়দের অভিমত, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান হিসেবে পারিবারিক ঐতিহ্য এবং একজন সৎ, ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে ক্লিন ইমেজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দলীয় অন্তর্কোন্দল ওই তিনটি নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফের বিজয় ত্বরান্বিত করে। এবারও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগে আওয়ামী লীগ এখানে পূর্ণ স্বস্তিতে রয়েছে। ফলে দলীয় প্রার্থী নিয়ে অনেকটাই নির্ভার আওয়ামী লীগ।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন এবং হোসেনপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে পুনর্বিন্যাসকৃত কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এ সময়ে টানা দুইবার তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করেন। এর আগে ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে দলের ক্রান্তিলগ্নে দলের হয়ে অসাধারণ ভূমিকা পালন করায় তিনি আবির্ভূত হন ‘সফলতার প্রতীক’ হিসেবে। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে ভিভিআইপি প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সামনে রেখেই আগামী নির্বাচনের জন্য তৎপরতা এবং ঘর গুছাতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুযোগ থাকলেও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সরকারের বিগত সময়ের সাফল্য ও স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার চেষ্টা করছে দলটি। অন্যদিকে কোন্দলে জর্জরিত বিএনপিতে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। দলটির হয়ে এরইমাঝে হাফ ডজনের মতো প্রার্থী মাঠে নেমে পড়েছেন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন মনোনয়নযুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থিতা নিয়েই মূলত স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ, জল্পনা-কল্পনা।
কিশোরগঞ্জ বিএনপিতে কোন্দল দীর্ঘ দিনের। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০১১ সালের ২রা জুলাই জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়। কিন্তু সে কমিটি দলের কোন্দল মেটাতে পারেনি। সর্বশেষ গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হলেও দলের অন্তর্কোন্দল মিটেনি আজও। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসনসহ জেলার সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয় বিএনপি। বিএনপির এমন অভাবনীয় সফলতা থেকেই শুরু হয় নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। দলীয় কোন্দলের জেরে এরপরে অনুষ্ঠিত আর কোন নির্বাচনেই দলটি তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, দলীয় কোন্দলের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনে। দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাও অনেক সময় অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায়। এবারও দ্বন্দ্ব নিরসনের অসম্ভব সমীকরণকে সামনে রেখেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানাভাবে তাদের নির্বাচনমুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপির বর্তমান জেলা কমিটিকেন্দ্রীক নেতাদের মধ্য থেকে গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক দুই ভিপি জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কমিটিকেন্দ্রিক এই বলয়ের বাইরে থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মো. মাসুদ হিলালী, সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ জেলা রেজাউল করিম খান চুন্নু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউলাহ রাব্বানী’র নাম আলোচনায় রয়েছে।
বিএনপির সম্ভাব্য এই পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সাবেক এমপি মো. মাসুদ হিলালী বর্তমান এবং এর আগের কমিটির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত হননি। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। মো. মাসুদ হিলালীকে বিএনপির বিকল্পহীন প্রার্থী দাবি করে তাঁর সমর্থকেরা বলছেন, আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাসুদ হিলালীর কোন বিকল্প নেই। একমাত্র তাকে এ আসনে প্রার্থী করা হলে দলীয় কোন কোন্দল থাকবে না এবং বিএনপির জয় সম্ভব হবে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মো. মাসুদ হিলালী মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জেলা কমিটিকে নানাভাবে কুক্ষিগত করে রাখা হচ্ছে। দলে নেতৃত্ব ও ঐতিহ্যের কোন ধারাবাহিকতা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নির্বাচনে যাকে মনোনয়ন দিলে দলের ভালো হবে, তাকেই মনোনয়ন দেয়া উচিত।
সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু বিচার বিভাগের চাকরি ছেড়ে ২০০৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র স্টেশন রোডে সুপরিসর জায়গা নিয়ে সদর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের ব্যানারে একটি ব্যক্তিগত অফিসও নির্মাণ করেছেন। সেখান থেকে তিনি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক তৎপরতা পরিচালনা করছেন। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে রেজাউল করিম খান চুন্নু বলেন, দলের জন্য মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দল যদি নির্বাচনে যায় এবং আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়, তবে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবো। কিশোরগঞ্জের উন্নয়নের জন্য আমার শক্তি, সামর্থ্য, বুদ্ধি, জ্ঞান আমি ব্যয় করবো।
ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি চার দলীয় ঐক্যজোট কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও গুরুদয়াল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী ওয়ান ইলেভেনে দলের দুঃসময়ে সাহসিকতার সাথে দলের হাল ধরেছিলেন। গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর ঘোষিত জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানীকে সহসভাপতির পদ দেয়ার খবরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া পাঠান। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে তৃণমূল পুনর্গঠন ও কাউন্সিল হয় কিশোরগঞ্জ জেলার বেলায় তা শতভাগ ব্যত্যয় হয়েছে। আন্দোলন, নির্বাচন, সংগঠন এই তিনে পুরো ব্যর্থদের আবারো পুনর্বাসনের চেষ্টা অশুভ বার্তা বহন করে।’ রাব্বানীর সমর্থকেরা জানিয়েছেন, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তিনবার কারা নির্যাতিত ওয়ালীউলাহ রাব্বানীরই একমাত্র ক্লিন ইমেজ রয়েছে। উপরন্তু তার পিতা হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ নূরুল্লাহ (রহঃ) ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম ও হয়বতনগর এ.ইউ. আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করায় তার রয়েছে হাজার হাজার মুরীদ ও অনুগামী। এটিও তার নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে সহায়ক হতে পারে বলে তারা দাবি করছেন।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল। বিএনপির সরকারবিরোধী লাগাতার হরতাল অবরোধের সময় ও এর পরে তাঁর নামে একের পর এক মামলা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা দ্রুত বিচার ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের এসব মামলায় খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল দফায় দফায়  কয়েক বছর কারাগারে ছিলেন। পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার এই বিএনপি নেতাকে পুলিশের হয়রানির কারণে দিনের পর দিন বাড়ি ছাড়া অবস্থায় থাকতে হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা ২২টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় সোহেলের সাজার রায়ও হয়েছে। এসব মামলায় বেশ কয়েকদফা জেল খেটেছেন তিনি। সর্বশেষ গত গত ১৫ই মার্চ থেকেই ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত কারাভোগ শেষে তিনি জামিনে মুক্তি পান। সোহেলের সমর্থক নেতাকর্মীরা জানান, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলার প্রায় সীমান্ত এলাকায় হওয়ার সুবাদে উভয় উপজেলার অন্তত ৮টি ইউনিয়নে রয়েছে তার একচেটিয়া আঞ্চলিক প্রভাব। আগামী নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিশীল এই নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হলেই কেবল এ আসনটি বিএনপি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে বলে তারা দাবি করেন।
দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এ আসনে ব্যাপক গণসংযোগ ও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি হাজী ইসরাইল মিয়া। বর্তমান কমিটির আগের কমিটিতেও তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারবিরোধী লাগাতার আন্দোলনের সময় জেলা শহরে মিছিল মিটিং নিয়ে বেশ সরব ছিলেন তিনি। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, মিছিল শ্লোগান ও বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে দলে একজন অপরিহার্য্য নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে হাজী ইসরাইল মিয়াও মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। ট্রেনে আগুন দেয়ার মামলায় কারাগারেও যেতে হয়েছে তাকে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইসরাইল এবার সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন। তাঁকে বিএনপির শক্তিশালী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবেই মনে করছেন সমর্থক নেতাকর্মীরা। তাঁর সমর্থকদের দাবি, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে একমাত্র হাজী ইসরাইল মিয়া কিশোরগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা এবং একজন কর্মীবান্ধব নেতা। একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তাঁর সুনাম ও পরিচিতি রয়েছে। হাজী ইসরাইল মিয়া দলীয় মনোনয়ন পেলেই কেবল এ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারবে বিএনপি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর