৬৪ জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে বিটি বেগুন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বন্যা ও অতিবর্ষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে অন্যান্য আরও ৮ জাতের শস্যের বীজের সঙ্গে জেনেটিকালি মডিফাইড বিটি বেগুনের বীজ বিতরণ করতে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রনালয়।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের মেহেদিবাগে চিটাগাং ইনস্টিটিউট অব ভিজ্যুয়াল আর্ট (সিআইভিএ) মিলনায়তনে বন্যা পরবর্তী বীজ বিতরণে বিটি বেগুন শীর্ষক আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বিটি বেগুন চাষের বিভিন্ন দিক এবং এর বিকল্প তুলে ধরে বেগুনসহ সকল শস্যের দেশীয় প্রজাতির বীজ বিতরণের আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির রেজিস্ট্রার এবং বায়োডার্সিটি রিসার্চ গ্রুপ অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর বদরুল আমিন ভূইয়া।

বদরুল আমিন ভূইয়া বলেন,  বিদেশি প্রজেক্টের অধীনে দেশীয় শস্যের জিনেটিক ইঞ্জেনিয়ারিং এর বদলে দেশের প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় দায়বদ্ধ থেকে এসব বিষয়ে বাংলাদেশের স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে।

কৃষি সংগঠক ইসলাম মোহাম্মদ বলেন, বিদেশি কোম্পানীর প্যাটেন্ট করা বীজ উচ্চমূল্যে কিনে চাষ করে আমরা দেশীয় বীজের স্বত্ব হারাবো এবং যার ফলে খুব স্বস্তা শস্যও চলে যাবে নাগালের বাইরে।

সুত্রপাঠ সদস্য শোয়েব করিম বলেন, বন্যা ও অতিবর্ষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে যে সব শস্যের বীজ বিতরণ করা হবে তার মধ্যে কেবল বিটি বেগুনই বিতরণ করা হবে ৬৪ জেলায়।

ফলে পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী আবাদের সীমিত পরিসর ছেড়ে গোটা দেশে তৃণমূল কৃষিতে ছড়িয়ে পড়বে বিটি বেগুন। এবং দেশজুড়ে এর চাষাবাদ হলে বেগুনের দেশীয় জাতসমূহ বিপন্ন হবে। তিনি ভারতে বিটি তুলা চাষের ফলে সর্বস্ব হারানো ঋণগ্রস্ত কৃষকদের আত্মহননের কথা স্মরণ করে বলেন বিটি বেগুন চাষে প্রাণবৈচিত্র্যের পাশাপাশি দেশের কৃষকেরা ও বিপন্ন হবেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জীবনিরাপত্তা বিধিমালা ২০১২ এর ৫ম ধারা অনুযায়ী জেনেটিকালি মডিফায়েড জীব বা দ্রব্যের মোড়কের গায়ে লেবেলিং এর বাধ্যবাধতা থাকলেও এক্ষেত্রে তারও লংঘন ঘটবে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর