কিশোরগঞ্জের ৬ টি আসনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। সব দলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ নির্বাচনের আভাস দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে তৃণমূলে সম্পৃক্ত, সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য, ব্যক্তি কারিশমা ও দক্ষ নেতৃত্ব গুণাবলী সম্পন্নদের আগামীতে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে। কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনের প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ।দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর–হুসেনপুর): বর্তমান সাংসদ ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জন প্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেই আবারো দলীয় মনোনযন দেয়া হচ্ছে এই আসনটিতে। তৃণমূলে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা, ক্লিন ইমেজ,জনপ্রিয়তা দলের নিবেদিত প্রাণ হিসাবে সর্ব মহলে পরিচিত এমনকি দলীয় সভানেত্রীর ও অত্যন্ত আস্থাভাজন।স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও মনে করেন সৈয়দ আশরাফের বিকল্প কিছু নেই সদর আসনে।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া): এ আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন দলীয় কোন্দলে কোনঠাসা। ভোট ছাড়া এম পি হলেও পরবর্তীতে নেতাকর্মী থেকে সাধারণ জনতা কারও কাছে আস্থা অর্জন করতে পারেননি।একাদশ জাতীয় নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে এই বিষয়টি মাথায় রেখে সাবেক পুলিশ প্রধান, সচিব, রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদেই ভরসা রাখছেন কেন্দ্র ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আর এরি ধারাবাহিকতায় কটিয়াদি-পাকুন্দিয়ায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন সাবেক এই কর্মকর্তা।আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও তরুণদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য এই পুলিশ প্রধান।আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনিই হচ্ছেন কটিয়াদি-পাকুন্দিয়ার নৌকার মাঝি।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল): মহাজোটের শরিকদল জাতীয় পার্টি থেকে পর পর ২ বার এম পি নির্বাচিত হয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু। জোটগত ভাবে নির্বাচন হলে আগামী নির্বাচনে তিনিই হচ্ছেন মহাজোটের প্রার্থী। জোটে না থাকলে সে ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করবে আওয়ামীলীগ।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম): এ আসন থেকে রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নেতাকর্মীদের সাথে সু সম্পর্ক এমনকি এলাকায় ব্যাপক ভাবে উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে তিনিই হচ্ছেন নৌকার কাণ্ডারি।

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলি): এ আসন থেকে আবারও মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বর্তমান সাংসদ  আফজাল হোসেনকে। এ আসনটি দীর্ঘদিন বিএনপি’র হাতে থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন বিশিষ্ট এই শিল্পপতি।নিকলি-বাজিতপুরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর): প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আবারও হচ্ছেন ভৈরব-কুলিয়ারচরের নৌকার কাণ্ডারি।একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনিই নৌকার টিকেট পাবেন বলে জানিয়েছে আওয়ামীলীগের বিশেষ সুত্র।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর