চুক্তি বাস্তবায়ন করুন নইলে বৃহত্তর আন্দোলন: সন্তু লারমা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না করে চু্ক্তিবিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।  চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে অসহযোগসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দিয়েছেন সাবেক শান্তিবাহিনীর প্রধান। আজ রাজধানীর হোটেল সুন্দরবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সন্তু লারমা দাবি করেন, চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২৫টি বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিগুলোর অবাস্তবায়িত রয়েছে।

তবে সরকার শান্তিু চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ, ১৫টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৮টি বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে দাবি করে আসছে।

জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয় বাস্তবায়ন না করে বরং চু্ক্তিবিরোধী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চুক্তির মৌলিক বিষয়ের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ এখনো অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।’

চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই অভিযোগ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘অথচ শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়েছিল।’  পার্বত্য চুক্তি পুরো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সাবেক শান্তিবাহিনী-প্রধান সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি করেন, তা না হলে ২০১৬ সালে ঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত এবং বৃহত্তম আন্দোলন সংগঠিত করবেন তারা।

সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলারও অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ১১টি সাম্প্রদায়িক হামলাসহ পার্বত্য চুক্তি-উত্তর ২০টি সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো জুম্মদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ এবং জাতিগতভাবে নির্মূল করা।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরার পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও মানবাধিকারকর্মী নুমান আহম্মদ খান।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন করে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্ত হয়।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর