ইনু-মেননকে মির্জা আব্বাসের অদ্ভুত প্রস্তাব

প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে এবং মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন সবসময় বিএনপিকে ‘গালাগাল’ করে বক্তব্য দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহানগর সভাপতি ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সরকারের এই দুই মন্ত্রীকে ‘গালাগাল’ করা থেকে বিরত রাখতে অদ্ভুত এক প্রস্তাব দিয়েছেন মির্জা আব্বাস।

প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস বলেছেন, যদি হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন এক সপ্তাহ বিএনপিকে গালি না দিয়ে বক্তব্য দেন তাহলে আমি তাদের ঢাকা-যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের টিকিট দেব।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, জঙ্গিবাদবিরোধী


প্রতিরোধ প্রতিরোধ সমাবেশে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, বিশেষত মেনন-ইনুর বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে- সুযোগ থাকলে বিএনপিকে তারা এখনই চিবিয়ে খান।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে দেশের রাজনীতিতে সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানী উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা বলেন, তারা এমন কাজে অভ্যস্ত, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অভিজ্ঞতা আছে।

গুলশান হামলার ঘটনায় দেশি-বিদেশি নিহত হওয়া দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে নিহতের প্রতি গভীর শোক এবং সমবেদনা জানান মির্জা আব্বাস।

এ ঘটনায় বিএনপির দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা স্পষ্ট করে তিনি বলেন, হামলার ঘটনার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, প্রেস ব্রিফিং করেছেন, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।  তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাননি।

গুলশান হামলার ঘটনা নিয়ে সরকার এবং আওয়ামী জোটের অবস্থানের সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস বলেন, আমি টিভি দেখিই না, তারপর চোখের সামনে পড়ে গেছিলো।  কাল দেখলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব মাহাবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিলকিস জাহান শিরিন, আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর