সম্ভাবনাময় আক্তাপাড়া মিনাবাজার

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নে এক অপার সম্ভাবনাময় বাজারে রূপ নিয়েছে আক্তাপাড়া মিনাবাজার। সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, বাড়িঘর তৈরির জন্য সব ধরণের বাঁশ, হাওর পাড়ের মানুষের বর্ষায় চলাচলের প্রধান বাহন নৌকা, ঘর তৈরির ছনসহ প্রভৃতি পাওয়া যায় এই বাজারে। সম্প্রতি সরকারের ঘরেও নাকি কদর বেড়েছে এ বাজারের। রাজস্বখাতে এ বাজার গত বছর জমা দিয়েছে ৮ লক্ষাধিক টাকা। যা উপজেলার অনেকগুলো বাজারের একত্রিত রাজস্ব। বাঁশের বাজার হিসেবে আক্তাপাড়া মিনাবাজারের ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়েছে সমস্ত উপজেলায়। শুধু বাঁশের বাজার নয়, নৌকার বাজারের জন্যই এখন আরো নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মিনাবাজারের। এছাড়াও কুটির শিল্পের আবাসভূমি এ বাজারই। আক্তাপাড়া গ্রামের সাধারণ কৃষকরা যখন সারা বছর ধান চাষ করতে ব্যস্ত থকেন, ধান ঘরে তোলার পর বা এর ফাকে ফাঁকে বাঁশের তৈরি কুটির শিল্পেরও কাজ করে থাকেন তারা। তারা বাঁশের দিয়ে বিভিন্ন নকশা খচিত রঙ বেরঙের ঘরের ছাদ, তরোজার বেড়াও তৈরি করে থাকেন। অনেক সৌখিন মানুষ ঘরের শ্রীবৃদ্ধির জন্য এসব বাঁশের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে থাকেন। এতে এখানকার ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তেমনি বাচিয়ে রাখছেন আমাদের শখের কুটির শিল্পকেও।
রবিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শতাধিক মানুষের ভিড়। সবাই বাঁশ বাজারের ক্রেতা। কেউ কিনছে, কেউ বিক্রি করছে। অপরদিকে, কৃষি ব্যবহার্য জিনিস বিক্রিও বাড়ছে। মানুষের বেচা কেনার ধুম পড়েছে এ বাজারে। স্থানীয়দের দাবী, সরকার যদি সহযোগিতা করেন তাহলে বাজারের আরো সম্ভাবনা দেখা দিবে। সামনের সময়ে গরু ছাগলের বাজারও করার চিন্তা করছেন স্থানীরা।
ব্যবসায়ী কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. মশাহিদ আলী বলেন, ‘আমরা আমাদের বাজারের ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করছি। অনেক স্বপ্ন আছে এ বাজার নিয়ে। আমরা সামনে গরু ছাগলের বাজার করবো।’
আরেক ব্যবসায়ী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবদুস সামাদ বলেন, ‘আমরা অনেক আশাবাদী। নৌকা, বাঁশ ইত্যাদির যে হারে ক্রেতা বাড়ছে তা সম্ভাবনাময়।’

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর