ধান ক্ষেতে মাছ চাষে ব্যাপক সফলতা

শিক্ষকতার পাশাপাশি সফল কৃষক ও মাছ চাষি হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন সহকারি অধ্যাপক কবিরুল ইসলাম। বোরো ধান ক্ষেতে মাছ চাষ করে আয় করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। শুধু মাছেই নয় ধান চাষে অর্জন করেছেন সাফল্য।

কবিরুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীর উপজেলার শরিফের হাট এলাকার মৃত আ: জলিলের পুত্র। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। বর্তমানে চিলমারী ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতা করছেন। কলেজ সময় বাদ দিয়ে বাকি সময় অসল সময় কাটতেন।
তাই অনাবাদী ও আবাদী জমি মিলে প্রায় ২ একর জমিতে ধান চাষের সঙ্গে মাছ চাষ শুরু করেন। জমিতে চাষ করেন রুই, কাতলা, মৃগেল, পুটি, বিটকাপ, বাটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর প্রথম বারেই দেখেন সাফলতার মুখ। আয় করেন প্রায় লক্ষাধিক টাকা। মাছের পাশাপাশি প্রতি বছর বোরো চাষে ঘরে তোলেন প্রায় শত মন ধান। সৃষ্টি হয় অনেকের কর্মসংস্থান। কবিরুল ইসলাম ধান ক্ষেতে মাছ চাষের পাশাপাশি ক্ষেতের চারদিক উঁচু করে লাগিয়েছেন আম, লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

সরেজমিনে সরকার পাড়া এলাকায় কবিরুল ইসলামের ধান ক্ষেত ও মাছ চাষ দেখতে গেলে দেখা যায় তিনি ধান ক্ষেতের উঁচু একটি স্থানে বসে মাছের খাদ্য দিচ্ছেন। শ্রমিকরা কেউ মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন, কেউ দিচ্ছেন পানি। কবিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে এই জমি গুলোতে আবাদ করে ভালো ফসল হত না। পরে আমার এক আতœীয় তৎকালিক কৃষি অফিসার বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক (উপ সচিব) খন্দকার মোহাম্মদ নূরুল আমীন এর পরামর্শে এই পদ্ধতিতে ধানের সঙ্গে মাছ চাষ শুরু করি। আর প্রথম বারেই পাই সফলতা। শুধু তাই নয় ধান চাষও বেশ ভালো হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রায় সাত বছর থেকে ধান ক্ষেতে মাছ চাষ করে আসছি কিন্তু বিভিন্ন পরামর্শ জন্য বারবার উপজেলা মৎস্য অফিসারসহ কৃষি বিভাগের দায়িত্বরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন ফল পাইনি। তারা এখন পর্যন্ত খবরও নেয়নি।

এ বিষয়ে মৎস্য অফিসার বদরুজ্জামান মিয়া ও কৃষি অফিসার খালেদুর রহমান এর সঙ্গে কথা হলে তারা কোন মন্তব্য না করেই বলেন, আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সরেজমিন দেখতে যাবো।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর