ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের আত্মনিয়োগ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। ১৯২১ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ সূচনা হয়। শতাব্দী ছুঁই ছুঁই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার বিস্তারসহ বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে আসছে।

বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশ, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে।’ তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্য ও গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাই কেবলই উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠ নয়, জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার পূরণের কেন্দ্রস্থলও। আগামীতেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-গবেষকগণ তাদের মেধা, সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও অবদান রাখতে সমর্থ হবেন।’

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন ও ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ তাঁদের মেধা, মনন, দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে, যা জাতিকে বিশ্বের গৌরবময় অবস্থানে নিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধির চর্চা, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ও গৌরবদীপ্ত ভূমিকা রয়েছে। উচ্চশিক্ষার বিস্তারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সর্বজনবিদিত। গণতন্ত্র বিনির্মাণ, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সহযোগী।’

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং জ্ঞান ও মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবেন।

তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সূচিত আমাদের স্বশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।’ মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন। অনেকে শহিদ হয়েছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন।

প্রসঙ্গত, আজ ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ উপলক্ষে আজ ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। তবে হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অফিস সমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর