বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাসের চাপায় মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জড়িত থাকা জাবালে নূরের মালিক ও বাসচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করেছেন আদালত।
এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এর বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস আসামিদের অব্যাহতি আবেদন নামঞ্জুর করে দণ্ডবিধির ২৭৯,৩০৬,৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সেই সাথে এই মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আাগামী ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মহানগর দায়রা জজের এডিশনাল পিপি তাপস কুমার পাল বিষয়টি সাংবাদিককে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে জাবালে নূরের মালিকসহ কারাগারে থাকা ৪ আসামির জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
কারাগারে থাকা ৪ আসামি হলেন, জাবালে নূর পরিবহনের সেই বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ও তার সহকারী এনায়েত হোসেন এবং বাসটির মালিক শাহাদাত হোসেন। ওই বাসটি যে বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছিল ওই বাসের চালক জোবায়ের সুমন।
পলাতক অপর দুই আসামিরা হলেন-জাবালে নূরের অপর বাসটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসটির চালকের সহকারি কাজী আসাদ্। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং বিভিন্ন আলামত জব্দ দেখানো হয়। যার মধ্যে ৩টি বাস এবং ৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।
ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন।