দুই দশক পেরিয়ে এখনো অনন্য ফেরদৌস

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। যিনি দুই দশক ধরে ছড়িয়ে চলেছেন অভিনয়ের মুগ্ধতা। এখনো তিনি অনন্য। শুধু ঢাকাই চলচ্চিত্রই নয় ওপার বাংলার টলিগঞ্জেও রয়েছে বেশ সুনাম। সেখানেও একজন শক্তিমান অভিনেতা হিসাবেই তার পরিচিতি। আজ থেকে ২০ বছর আগে ১৯৯৮ সালের রোজার ঈদে বিটিভিতে প্রদর্শিত হয়েছিলো বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ফেরদৌস অভিনীত সিনেমা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। এই সিনেমায় অজিত চরিত্রে অভিনয় করে সেই সময় সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন ফেরদৌস।

শুধু তাই নয় ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয় করেই তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তবে তারও আগে তিনি ছটকু আহমেদের নির্দেশনায় ‘বুকের ভেতর আগুন’ সিনেমায় প্রয়াত সালমান শাহর স্থলাভিষিক্ত হয়ে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে পেশাগতভাবে তার পথচলা শুরু হয় ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে।সেই হিসেবে সিনেমায় অভিনয়ের ফেরদৌস দুই দশক অর্থাৎ বিশ বছর সময় পার করছেন। টানা বিশ বছর যাবত বলা যায় প্রায় একই রকম জনপ্রিয়তা নিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়ক।

দীর্ঘদিনের পথচলা প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালোভাবে এখনো কাজ করে যাচ্ছি। আজ এই সময়ে এসে বলতেই হয় যাদের কথা তারা হচ্ছেন ছটকু আহমেদ, বাসু চ্যাটার্জি, বিবি রাসেল, অঞ্জন চৌধুরী, দীলিপ বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান, সানোয়ার মোর্শেদ, বিবি রাসেল, আমার পরিবার, আমার বাবা মা, স্ত্রী এবং আমার দুই সন্তানের কথা।

তিনি বলেন, নায়িকাদের মধ্যে মৌসুমীর কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়। অবশ্যই শাবনূর, পপি, পূর্ণিমা, ঋতুপর্ণা এবং প্রিয়াংকার নাম আসে। কৃতজ্ঞ আমার সকল সহশিল্পী, সিনেমাটোগ্রাফার, মেকাপ আর্টিস্ট, প্রযোজক, নতুন নতুন পরিচালক, প্রোডাকশন বয়, সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক’সহ আমার সকল সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি।

ভক্তদের নিয়ে এ নায়ক বলেন, কোটি কোটি ভক্ত দর্শকের কাছেও কৃতজ্ঞ। কারণ তাদের কারণেই আমি আজকের ফেরদৌস। সত্যি বলতে কী চলচ্চিত্র একটি পরিবার। তাই পরিবারের সবার সহযোগিতায়ই কিন্তু আমি আজকের ফেরদৌস।

‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পর ফেরদৌস সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘গঙ্গাযাত্রা’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ এবং নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘এক কাপ চা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।তার অভিনীত প্রিয় আরো বেশ কয়েকটি সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হিন্দি সিনেমা ইকবাল দুররানীর ‘মিট্টি’, একে সোহেল’র ‘খায়রুন সুন্দরী’, মৌসুমীর ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’, শাহ আলম কিরণের ‘চুড়িওয়ালা’, তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘জবাবদিহি’।

কলকাতায় ঋতুপর্ণার সাথে সুভাষ সেনের ‘ওস্তাদ’ তার অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা। ফেরদৌস প্রযোজিত ‘পোস্ট মাস্টার ৭১’ আসছে বিজয় দিবেস মুক্তি পাবার কথা। শিগগিরই তার প্রযোজনায় নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘গাঙচিল’ নামের নতুন সিনেমার সিনেমার কাজ। এই সিনেমাটি নির্মাণ করতে যাচ্চেন গুনী নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর