সসবজির বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাবনায় পদ্মা নদীর মাঝে জেগে উঠা চরে এবারে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। পদ্মার নদীর জেগে উঠা চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এবার লাউ, মুলা, টমেটো, গাজর, মসুরের ডাল সহ বিভিন্ন ধরণের সবজি আবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। চরাঞ্চলে সবজি আবাদ করে অনেক কৃষকের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। চরের সবজি চাষীরা এখন নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে।

মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া, নাজিরগঞ্জ, সাগরকান্দি, মানিকহাট ও ভায়না ইউনিয়নের পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে। এ সকল চর এলাকার জমি কয়েক বছর আগেও পতিত হিসাবে পড়ে থাকত জানান এলাকার কৃষকরা। কিন্তু এবছর চর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে লাউ, মুলা, টমেটো, গাঁজর,শাক ও মসুরের ডাল সহ বিভিন্ন ধরণের সবজি আবাদ করছে স্থানীয় কৃষকেরা। সবজির ফলন এবার বাম্পার হয়েছে। হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখে।

সাগরকান্দি ইউনিয়নের চর-খলিলপুর গ্রামের কৃষক আফতাব উদ্দিন জানান, আগে পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ার পর চরে কোন কৃষক ফসল আবাদের চিন্তাও করেনি, অনেকে নদীর বালি মাটি কেটে এনে বিক্রি করত। কিন্তু বর্তমানে এই সকল চরে সবজি আবাদ করে অনেক কৃষকের সংসারে সচ্ছলতা ফেরে এসেছে। চরভবানীপুর এলাকার কৃষক ইউসুব আলী বলেন, কিছু দিন আগেও চর অঞ্চলের জমির কোন মূল্যই দিত না এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু বর্তমানে এ চরের জমি সোনায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের সবজি আবাদের যোগ্য হওয়ায় জমির দামও বেড়েছে আগের চেয়ে বহুগুন। ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আব্দুল মোনায়েম জানান, বর্তমানে এ সকল চর-অঞ্চলে শিম, ধুনেপাতা, লাউ, বেগুন সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। চরের সবজি চাষীরা এখন নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে।

সুজানগ উপজেলা কৃষি অফিসার ময়নুল হক সরকার জানান, এই সকল চর এলাকায় কৃষকেরা অল্প টাকা খরচ করে বর্তমানে ভাল ফসল উৎপাদন করছে, চরের জমিতে ফসল উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছে। চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এবার সবজির আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের এব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর