২৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সবুজ-শ্যামল আর নদী-খালবিলে ভরা আমাদের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নদী, খাল, বিলের পাশেই গড়ে উঠেছে হাট-বাজার, শহর, বন্দর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঠিক এমনই একটি দৃশ্য চোখে পড়ে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলায় নলকা ইউনিয়নে ফুলজোড় নদীর দুপাশে। এখানে রয়েছে ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নলকা ইউনিয়নকে দুই ভাগ করেছে এই ফুলজোড় নদী।

নদীর পাড় ঘেঁষে পশ্চিম পাশ দিয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক। পূর্ব পাশে রয়েছে নদী। এই ইউনিয়নবাসীর একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে সাহেবগঞ্জ ও কেসি ফরিদপুর খেয়াঘাট। ৭০০ মিটার প্রস্থের এই নদী পাড়ি দিতে একসময় খেয়া নৌকা বসানো হতো। খেয়া পারাপারে অনেক সময় নষ্ট হয় বলে সেমাউল উংডং নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় একটি এনজিওর সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছিল ৭০০ মিটার দীর্ঘ এই বাঁশের সাঁকো।

তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানটিতে একটি সেতু নির্মাণের দাবি করে আসলেও তা আজও পূরণ হয়নি। নদীর পূর্ব পাশে রয়েছে, চর ফরিদপুর, পূর্ব ফরিদপুর, আঙ্গারু, বিষ্ণপুর, কাঁঠালবাড়ি, বোয়ালিয়ার চর, রামপুর, চরগাতী, সেনগাতী, ঝাকড়ি, হাটকান্দা, এরান্দহ, মনোহরপুর, রামপুর, মথুরাপুর ও চররগুনাথপুর গ্রাম।

পশ্চিম পাশে অবস্থিত সাহেবগঞ্জ, দাদপুর, রায়েরপাড়া, আলমচাঁদপুর, শেওড়াবাড়ি, মোহৎপুর, দত্তকুশা, কালিপুর ও দাসপাড়া গ্রামের লোকজন প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে।

২৫টি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। আর এখান দিয়েই প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার লোক যাতায়াত করে।

সেমাউল উংডং সংগঠনটির সভাপতি রণজিৎ কুমার বলেন, দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে সবার সহযোগিতা নিয়ে গত বছর ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন বাঁশের সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই নলকা ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের মানুষ ও ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

এ বিষয়ে কথা হয় নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বারের সাথে। তিনি বলেন, বারবার সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। তবে কোনো কাজে আসেনি।

এ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলন বলেন, সাহেবগঞ্জ-কেসি ফরিদপুরে ফুলজোড় নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি সেতুর দাবি করে আসলেও আজও তা পূরণ হয়নি। দ্রুত এই সেতুটি নির্মাণের জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর