ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নিজ বাসায় ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-রুমা ওরফে রেশমা (৩০), স্বপ্না (৩৫) ও রাশিদা (৫৫)। এদের মধ্যে প্রথম দুজন মাহফুজা চৌধুরীর বাসার গৃহকর্মী ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন তারা।

তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টায় নিউমার্কেট থানায় এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার রাতে ঢাকা কলেজের সামনের বহুতল ভবন ‘সুকন্যা টাওয়ার’ থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর তার বাসার দুই গৃহকর্মী পালিয়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মাহফুজা চৌধুরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, শ্বাসরোধে মাহফুজা চৌধুরীকে খুন করা হয়েছে। দুই বা ততোধিক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশের ধারণা বাসার দুই গৃহকর্মীসহ অন্যরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গৃহকর্মী রেশমা ও স্বপ্না এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর ওই বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে তারা। বাড়িটির নিচতলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে দুই গৃহকর্মী লিফট থেকে নেমে বেরিয়ে যাচ্ছে।

পরদিন মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন তার স্বামী ইসমত কাদের চৌধুরী। মামলার আসামিরা হলো-রূপা ওরফে রেশমা ও স্বপ্না। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকেও মামলায় আসামি করা হয়।

মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদির জানান, এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলার ডুপেক্স ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। তাদের দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যান। ওই সময় বাসায় রেশমা ও স্বপ্নাসহ তিনজন গৃহকর্মী ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় ফিরে ১৬ তলার কলিং বেল চাপলেও কেউ দরজা খুলছিল না। পরে ১৫ তলার কলিং বেল চাপলে বৃদ্ধা গৃহকর্মী দরজা খোলেন। তখন তিনি ১৬ তলায় গিয়ে দেখেন খাটের ওপর মাহফুজার নিথর দেহ পড়ে আছে। লাশ কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল। পাশেই পড়ে ছিল বালিশ।

স্বজনরা জানান, গত মাসেই স্বপ্না ও রেশমা নামে দুইজন গৃহকর্মী এই বাসায় কাজে যোগ দেয়। স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় আর রেশমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর