বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জাতির পিতাকে আবিস্কার করেছিলেন হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী। সােহরাওয়ার্দী কিশাের মুজিবের মধ্যে দেখেছিলেন নেতৃত্বের আলােকবর্তিকা। বঙ্গবন্ধু ও সারাজীবন সােহরাওয়ার্দী তারা নেতাই মানতেন। শেখ মুজিবের জাতির পিতায় পরিনত হবার পিছনে হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর অবদান কিছুটা হলেও ছিলাে। বঙ্গবন্ধু নিজ যােগ্যতা, ক্যারিশমায় আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হলে, তিনিও আবিস্কার করেন অনেক নেতাকে। তােফায়েল আহমেদ, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, আ স ম আবদুর রব। কিংবা শাজাহাস সিরাজ-সবাই বঙ্গবন্ধুর আবিস্কার ছিলেন।
শুধু এরা নয়, বঙ্গবন্ধু ড. কামাল হােসেন, অধ্যাপক আবু সাইয়ীদসহ অনেক পেশাজীবিকে রাজনীতিতে এনেছিলেন। তার ব্যক্তিত্বের কাছে বশ্যতা স্বীকার করেনি এমন নেতা কমই ছিলাে। এটাই হলো নেতাদের আসল গুন, যিনি তার উত্তরাধিকার তৈরী করেন, ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তােলেন। এজন্য লাগে চোখ, যে চোখ দিয়ে একজন নেতা আবিসুর করেন আগামীর নেতা। অনেক সময় তিনি হয়তাে যােগ্য ব্যক্তিকেই আবিষ্কার করেন। অনেক সময় তিনি যােগ্য ব্যক্তি বাছতে ভুল করেন। কিন্তু নেতার চোখ সব সময় ভবিষ্যতের কাণ্ডারী খোঁজ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনাও অনেককে আবিষ্কার করেছেন। শেখ হাসিনার কারণে রাজনীতিতে এসেছেন, বিকশিত হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়। কয়েকটা উদাহরণ দেয়া যাক।
সাবের হােসেন চৌধুরী- সাবের হােসেন চৌধুরী ছিলেন বিদেশে পড়াশুনা করে ফেরা তরুণ ব্যবসায়ী। চমৎকার করে কথা বলতে পারেন। ৯৬ এর নির্বাচন ছিল আওয়ামী লীগের বাঁচা মরার নির্বাচন। এজন্য দলের নিবেদিত প্রাণ প্রার্থীর চেয়ে শেখ হাসিনা খুঁজলেন এমন প্রার্থী যে জিতবে। এজন্যই মতিঝিলে মির্জা আব্বাসকে টক্কর দিতে মােজাফফর হােসেন পন্টুকে বাদ দিয়ে নৌকা প্রতীক তুলে দেন সাবের হােসেন চৌধুরীর হাতে। সাবেরও যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বাের্ডের সভাপতি, এরপর উপমন্ত্রী। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের পর সাবের চৌধুরী আরাে আস্থাভাজন হলেন শেখ হাসিনার। নির্বাচিত হলেন রাজনৈতিক সচিব। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনে তার ভূমিকা নিয়ে দূরত্ব তৈরি হলাে। শেখ হাসিনা তার নিজ অধিকারকেই দূরে ঠেলে দিলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী- দুর্দান্ত মেধাবী ছাত্রী। এসএসসি এবং এইচএসসিতে প্রথম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে প্রথম শ্রেণী পান। পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাজ করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হলেও রাজনৈতিক আবহ ছিল। কিন্তু ছাত্রজীবনে, বিশ্ববিদ্যালিয়ে শিরীন শারমিন রাজনীতির বারেকাছেও ছিলেন না। ২০০৮ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবিস্কার করেন শেখ হাসিনা। প্রথমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সবথেকে ভালাে স্পিকারের মর্যাদা দেওয়া হয়। আর তাকে আবিস্কারের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর।
মাশরাফি বিন মর্তুজা- দ্যা ক্যাপ্টেন। ম্যাশ। আরও কতাে নামেই না তাকে ডাকেন ভক্তরা। কিন্তু কেউ কি দুবছর আগেও ভাবতে মাশরাফি রাজনীতি করবেন। তিনি এমপি হবেন। ভাবতেন একজনই শেখ হাসিনা। একটা টুর্নামেন্টে বিজয়ের পর আচমকাই প্রধানমন্ত্রী মাশরাফিকে রাজনীতিতে আমন্ত্রণ জানালেন। শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ কি করে প্রত্যাখান করবেন মাশরাফি? বাকিটা তো এখন ইতিহাস।
এছাড়া প্রয়াত ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামসহ শেখ হাসিনার আবিস্কার’ রাজনীতিতে এখন অনেক ।