হঠাৎ করেই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজীর দাম দ্বিগুণ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ হঠাৎ করেই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত রমজান মাসের তুলনায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমলেও, শুক্রবার একদিনের ব্যবধানে ফের বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এই তথ্য।

মিরপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হওয়া ঝিঙ্গার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

দাম বাড়ার এই তালিকায় আরও রয়েছে- করলা, কাকরোল, পটল, উসি, বেগুন, গাজর, শসা, পেঁপে। গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া উসি বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পটল। গতকাল বিভিন্ন বাজারে পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

গতকাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, যা গতকাল ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। বেগুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে, যা গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া গতকাল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁপের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। পাকা টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে, যা গতকাল ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি।

একদিনের ব্যবধানে সবজির এমন দাম বাড়ার বিষয়ে মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া বলেন, শুক্রবার হওয়ার কারণে আজ সবজির দাম কিছুটা বেশি। তবে সার্বিকভাবে রোজার মাসের তুলনায় এখন সবজির দাম তুলনামূলক কম। আজ যেসব সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, আগামীকাল দেখবেন এর বেশিরভাগ ২০ টাকায় বিক্রি হবে।

সবজির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। পেঁয়াজ আগের মতো খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আগের মতোই কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

এদিকে কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছের দাম এখনও বেশ চড়া। তেলাপিয়া মাছ আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। রুই মাছ ২৮০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।

অপরদিকে রোজার মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, যা রোজার মাসে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ছিল। মুরগির দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংস এবং ডিমের দাম। গরুর মাংস বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৬ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর