আমরা দুইবোন ভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যাই : প্রধানমন্ত্রী

কারবালায় যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেন কারবালার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো ৩২ নম্বরে। আমরা দুইবোন ভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যাই বলে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা নয়। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাস মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যার অবদান, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যত আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা মুছে দেওয়া হয়েছিল।

‘তখন একটি মাত্র টেলিভিশন ছিল-বিটিভি। সেই বিটিভিতেও একটি বারের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামটি আসেনি। একেবারে ইতিহাস থেকেই মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়।’

বিএনপি বাংলাদেশের আদর্শের রাজনীতি ধ্বংস করে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করল। ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করল। মন্ত্রিসভা যখন গঠন করল, সেখানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করল, স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলো। বিএনপির একটা কথা জানা উচিত, জিয়ার ক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। এজন্য বিএনপির সৃষ্টিটাও অবৈধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে তারা। আদর্শের রাজনীতি ধ্বংস করে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।

বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে বিএনপি নেতারা নতুন সাফাই গাইতে শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলছে, ৭৫ সালে তো বিএনপি গঠনই হয়নি তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিএনপি কিভাবে জড়িত হলো? কিন্তু বিএনপির যে প্রতিষ্ঠাতা, সেই জিয়াউর রহমান নিজেই খুনি। জিয়াউর রহমান শুধু খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল না, এই হত্যার বিচার হবে না সেই ব্যবস্থাও জিয়াউর রহমান করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ডালিমসহ অন্যদের যখন বিদেশে পাঠানো হলো অনেক দেশ তাদের গ্রহণ করেনি। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সপক্ষে ছিল, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কূটনীতিক হিসেবে মেনে নিতে নিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, দেশের ভেতরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তারাও পরবর্তীতে জিয়ার সঙ্গে গেছে। অনেকে এখনো বেঁচে আছে, বড় বড় কথাও বলে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই ১৫ আগস্টের খুনিদের মদদ দিয়েছে। যেভাবে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল সেভাবে খালেদা জিয়াও পুনর্বাসন করেছেন। এরশাদও খুনিদের মদদ দিয়েছে পুরস্কৃত করেছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর