আবরার হত্যায় জড়িত কাউকে প্রশ্রয় দেয়া হয়নি: ছাত্রলীগ

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে প্রশ্রয় দিইনি। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ইতিহাসে তা নজিরবিহীন ঘটনা।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জয় বলেন, আমরা আবরার ফাহাদ হত্যার নিন্দা জানিয়েছি। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আজ কালোব্যাজ ধারণ করেছি।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির গৃহীত ব্যবস্থার পর্যালোচনা এবং হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ।

আল নাহিয়ান জয় বলেন, গত ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ন্যক্কারজনক ঘটনায় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এতে মুহূর্তেই ছাত্রসমাজসহ সবার হৃদয়ে তা প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছে।

‘আবরারের বাবা-মায়ের মুখে সবাই নিজের বাবা-মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান। আবরারের ছোট ভাইয়ের অসহনীয় চাহনিতে সবাই নিজেদের অন্তর্জালা অনুভব করেন।’

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, হত্যাকাণ্ডটির সঙ্গে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠায় দ্রুততার ভিত্তিতে নানামুখী সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

পদক্ষেপগুলো হচ্ছে- হত্যকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ও হত্যাকারীদের সব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে ওঠে বিচারের দাবি জানিয়ে আনুষ্ঠানিক শোকপ্রকাশ ও নিন্দা জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠায় দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার ভেতর প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না। উৎসাহও দেয় না। সংগঠনের পরিচয় ও পদবি ব্যবহার করে কতিপয় ব্যক্তির অতিউৎসাহী হয়ে সংঘটিত কোনো কর্মকাণ্ড ছাত্রলীগ অতীতের মতো বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতেও প্রশ্রয় দেবে না।

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যে-ই করুক, তার কোনো নিস্তার এই বাংলাদেশে হবে না। কাজেই অতিউৎসাহী হয়ে কেউ যাতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সেই নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।’

এখন পলাতকদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন আল নাহিয়ান জয়।

তিনি আরও বলেন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার পরও ছাত্রলীগ তার সাংগঠনিক অবস্থান পরিষ্কার করার পরও কিছু কুচক্রী মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, বিভিন্নভাবে ধর্মীয় উন্মক্ততা ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছেন। দেশবিরোধী চুক্তির ধোয়া তুলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর