হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। অন্যথায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, কলাকুশলী, নাট্যকার, অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সম্মিলিত সংগঠন এফটিপিওর (ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস) সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
প্রচলিত ক্যাবল সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখার এই প্রযুক্তি (ডিরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ) গত মে মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চালু হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির ডিটিএইচ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়। বিদেশি কোনো ডিটিএইচ কোম্পানিকে এখানে ডিটিএইচ যন্ত্র বসিয়ে সম্পªচারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সুতরাং বিদেশি যেসব ডিটিএইচ যারা ব্যবহার করছেন বা যাদের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন, পুরোটাই অবৈধ।
বাংলাদেশে কয়েক লাখ বিদেশি ডিটিএইচ সিস্টেম বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, শুধু শহরে নয় গ্রামেও লাগানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা বিদেশ থেকে কেনা হয়, বাংলাদেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে যায়। এগুলো যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে এক বছরের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। কোম্পানি তো বিদেশি, মাসে মাসে নেওয়া কঠিন, এ জন্য এক বছরের টাকা নিয়ে সেগুলো আবার হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। এভাবে দেশের ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়। এটি চলতে দেওয়া যায় না, এটি সমীচীন নয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। সব অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ যন্ত্র এর মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে। এরপর আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। ক্যাবল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার জন্য যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে, একইভাবে ১৫ ডিসেম্বরের পরে অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ কেউ যদি ব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফটিপিওর আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ সভায় বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি গঠন, এ ধরনের সিরিয়াল অফপিক আওয়ারে সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, এফটিপিও প্রতিনিধিদের মধ্যে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক, অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না এবং টেলিভিশন প্রোগ্রামার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনতাসির মামুন সাজু।