দারিদ্র বিমোচনের সবচেয়ে বড় ভূমিকা কৃষি: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষির গুরুত্বের কথা আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের উন্নয়নে, দারিদ্র বিমোচনের সবচেয়ে বড় ভূমিকা কৃষি।

যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান ছিলো প্রায় ৬০ভাগ। সেটি ক্রমান্বয়ে কমে এখন ১৪/১৫ ভাগে নেমে দাঁড়িয়েছে। তার অর্থ এই নয়, যে কৃষির গুরুত্ব কমে গেছে। এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতি, সাংস্কৃতি ও সমাজনীতি সবকিছুই কৃষিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। তাই এদেশের অর্থনীতিতে কৃষি সবচেয়ে গুরুত্ব নিয়ে অবস্থান করবে।

শনিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে “কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০১৯” এর উদ্বোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এদেশের গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ কোন না কোনভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আমাদের আগে চ্যালেঞ্জ ছিল দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া। এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুষ্টি জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। তাই আগামী দিনের কর্মসূচী প্রনয়নে আন্তরিক হতে হবে, দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটা কি মর্মান্তিক ঘটনা! আমার রক্তক্ষরণ হয়েছে, কোনোভাবেই এটা মেনে নেয়া যায় না। ছাত্র রাজনীতি এটা মানুষের মৌলিক অধিকার, মানুষের কথা বলার অধিকার,স্বাধীনভাবে কোন কথা বললে, সেটা সে বলতেই পারে। আইন করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে পারবেন না।

মন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই ছাত্র রাজনীতি রয়েছে। এমন কি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র রাজনীতি আছে। সেখানেও দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হয়।

ছাত্ররাজনীতি আগেও ছিল,ছাত্ররাজনীতি থাকবে। সেটা হতে হবে স্বচ্ছ-সুন্দর নৈতিক। ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে আমরা না এটা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা মধ্যে রাজনীতি করে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএআরআই এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালাকা (অব.) ও এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট, এনএআরএস, ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা।

স্বাগত বক্তব্য এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম, সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার উপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করে বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো.আব্দুল ওহাব ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. বাবু লাল নাগ। পরে মন্ত্রী বারি’র মৃত্তিকা বিজ্ঞান, কীটতত্ত্ব উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং ইনস্টিউিটের সেমিনার কক্ষের পাশে স্থাপিত বিভিন্ন বিভাগের স্টল পরিদর্শন করেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর