ঢাকার দুই সিটিতে প্রচার শুরু প্রার্থীদের: নৌকা-ধানের শীষের লড়াই

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শুরু হয়েছে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই।

শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রাথী- উত্তরে আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণে ফজলে নূর তাপস নৌকা এবং বিএনপির তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েন।

এ সময় তারা ভোটারদের মন জয় করতে দ্বারে দ্বারে যান। কুশল বিনিময়, লিফলেট বিতরণসহ নানা কাজে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেন। প্রচারকালে দুই সিটির বিভিন্ন এলাকা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।

৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনেকে সামনে রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ আগামীতে কেমন নগর উপহার দিতে চান, তা ভোটারদের কাছে তুলে ধরেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও নানা অপকর্মের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের ই হক স্কুলের সামনে পথসভা থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অন্যদিকে উত্তরে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের পর ৪ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কের সামনে থেকে শুরু করেন প্রচারণা।

অপরদিকে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামেন বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী। উত্তরা ৭ নম্বর জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে উত্তরের তাবিথ আউয়াল এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের উত্তর গেট থেকে প্রচার শুরু করেন দক্ষিণের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

জনগণের সেবক হতে চান তাপস : শুক্রবার সকালে নির্বাচনী প্রতীক বুঝে পাওয়ার পর প্রথম দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে রাজধানীর ডেমরায় যান ফজলে নূর তাপস। সেখানে পৌঁছালে স্লোগান আর করতালিতে তাকে স্বাগত জানান স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের ই হক স্কুলের সামনের অস্থায়ী মঞ্চে ওঠেন তাপস।

এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোরশেদ কামাল, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগ উদ্বোধনের আগে শেখ ফজলে নূর তাপস স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনকে, যাদের আত্মত্যাগে এসেছে স্বাধীনতা।

পরে নির্বাচন কমিশন থেকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাপস বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে মেয়র পদে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। আপনাদের প্রাণপ্রিয় প্রতীক- জাতীয় প্রতীক নৌকা। আজকে আনুষ্ঠানিক গণসংযোগ ডেমরা থেকে পথচলা শুরু করছি।

নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে গিয়ে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঘরে ঘরে জনগণের দোরগোড়ায় যাব এবং ৩০ জানুয়ারি বিজয়কে সুনিশ্চিত করে প্রাণপ্রিয় ঢাকাকে ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়ব। সেই উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আজ থেকে যাত্রা শুরু।

জনগণের কাছে ভোট ও দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আপামর জনগণ তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন, একসঙ্গে এই যাত্রায় শরিক হবেন এই প্রত্যাশা করি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, সমর্থন করবেন।

পথসভায় বক্তব্য শেষে এলাকার অলিগলিতে ঘরে ঘরে ঢুকে, দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে বুকে জড়িয়ে দোয়া ও নৌকার জন্য ভোট চান শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ সময় ‘নৌকায় ভোট দিন’- নেতাকর্মীদের এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। তাপসকে দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও বাইরে বেরিয়ে আসেন। হাত মেলান তার সঙ্গে। তাপসও দোয়া চেয়ে তাদের সঙ্গে হাত মেলান, আলিঙ্গন করেন, নৌকার লিফলেট তুলে দিয়ে ভোট চান।

এরপর মেহেন্দিপুর বাজার, মীরবাগ, ওয়ার্ড নং-৭০, ডেমরায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাবেন আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী। আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। প্রথম দিনের দিনব্যাপী প্রচারণায় ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান তাপস।

এদিকে আজ সকাল ১০টায় সূত্রাপুর থানার ৩৯নং ওয়ার্ডের ওয়ারী রোজ গার্ডেন থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন দক্ষিণের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ সময় এলাকাবাসীসহ আওয়ামী লীগ এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচারণায় অংশ নেবেন। দিনব্যাপী প্রচারে নিজে উপস্থিত থেকে ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন তিনি।

সংসদ সদস্যদের প্রচারে সুযোগ চান আতিকুল : দুপুরে উত্তরা জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। নামাজ শেষে কুশল বিনিময় করেন মুসল্লিদের সঙ্গে। অনেকের সঙ্গে কোলাকুলিও করতে দেখা যায় আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থীকে। পরে ৪ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন।

এ সময় তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান। লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেখান থেকে উত্তরার নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের জন্য সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেয়ার সুযোগ চান তিনি।

এজন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আতিকুল বলেন, আপনারা দেখেছেন, নির্বাচনী প্রচারে এমপি বা মন্ত্রীদের অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমার কথা হচ্ছে, আজ যারা এমপি আছেন, তারাও তো দলের সদস্য। তাদেরও তো ইচ্ছা করে আমার সঙ্গে প্রচারে নামার।

প্রতিপক্ষ বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারে সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মওদুদ আহমদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আতিকুল বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, অন্ততপক্ষে যারা এমপি আছেন, তারা যেন আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করতে পারেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য এই বাধাটুকু যেন না থাকে।

মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি মেয়রসহ সব কাউন্সিলরের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করবেন- এমন ঘোষণা দিয়ে তিনি একই সঙ্গে নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ শহর গড়ে তোলার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রতিপক্ষকে কীভাবে দেখছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল বলেন, আমাদের চাচা-ভাতিজার সম্পর্ক। প্রতিপক্ষের বাবা একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। যেকোনো প্রতিপক্ষকেই আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলে মনে করি। কাউকেই ছোট করে দেখব না।

এদিন সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বয়েজ স্কুল আলেম-ওলামা, শিক্ষক প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি নৌকার জন্য ভোট চান।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার বেলা ১২টায় মিরপুর শাহ আলী মাজারে দোয়া পাঠ ও গণসংযোগ শুরু করে মিরপুর ৭ নং ওয়ার্ড, মিরপুর ১, গোধারাঘাট, মিরপুর থানা এলাকায় পথসভা করবেন আতিকুল। বেলা ৩টায় মিরপুর ৮ ও ১২ নং ওয়ার্ড এলাকা শাহআলী থানা, টোলারবাগে গণসংযোগ করবেন। রাত ৮টায় বনানীর নির্বাচনী কার্যালয় ঢাকা মহানগর তাঁতী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা তাবিথের : দুপুরে উত্তরা ৭ নম্বর জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন উত্তরের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। মুসল্লিদের কাছে দোয়া চান তিনি। নামাজ শেষে মসজিদের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী প্রচারণায় অংশ নেন। তারা তাবিথ আউয়ালের পক্ষে স্লোগান দেন এবং মিছিল নিয়ে প্রচারণা করেন।

এ সময় পথচারীসহ দোকান, বাসা-বাড়িতে গিয়ে দোয়া চান এবং লিফলেট বিতরণ করেন তাবিথ আউয়াল। পাশাপাশি ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রচারণার শুরুতে তাবিথ আউয়াল বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে কমিশন কাজ করবে। জনগণ ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমি চাই, সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।

তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অবশ্যই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যাত্রা শুরু করলাম। সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম, খুন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষ এই নির্বাচনে জবাব দেবে।

উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অতীতের মতো এই নির্বাচনেও যদি কোনো কারচুপি ও ষড়যন্ত্র করা হয়, এখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা হবে।

প্রচারণাকালে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর ব্রিজ দিয়ে ১৪ নম্বরের দিকে যাওয়ার পথে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির অংশ হিসেবে নিয়েছি। পরে তাবিথ আউয়াল ৭ নম্বর সেক্টর হয়ে ১০ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা, দিয়াবাড়ি, ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড়সহ ওই এলাকায় প্রচারণা চালান।

এদিকে তাবিথ আউয়াল আজ উত্তরার আজমপুর বাস স্টপেজ থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। এর পর উত্তরখান, মাস্টারবাড়ীসহ ৪৫, ৪৬, ৪৭ ও ৫০ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করবেন তিনি।

গণতন্ত্রের মুক্তির মিশন ইশরাকের : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর জুরাইনে বাবা প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কবর জিয়ারত করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। পরে দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের পর মসজিদের উত্তর গেট থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন তিনি।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী প্রচারণায় অংশ নেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে সাংবাদিকদের সামনে ইশরাক বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমরা যে আন্দোলন-সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের মা। সেই মায়ের মুক্তির আন্দোলনে, গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি। তাই আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি বলেন, ধানের শীষে ভোট দেবেন। ইনশাআল্লাহ আমাদের বিজয় আসবে এবং আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করে ছাড়বই।

পরে মহাসচিবসহ নেতারা ইশরাককে নিয়ে মানুষের কাছে লিফলেট বিতরণ করেন। মসজিদ থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল করে ইশরাককে নিয়ে বের হয় এবং পথচারীদের কাছে লিফলেট বিতরণ করেন।

এছাড়া স্বামীবাগ মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে গণসংযোগ করেন ইশরাক হোসেন। পরে সায়েদাবাদ, কেএম দাশ লেন ও গোপীবাগের বিভিন্ন সড়কে মিছিল ও সংযোগ করেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। গণসংযোগকালে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ইশরাক।

এদিকে আজ ইশরাক হোসেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। পরে ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করবেন। বেলা ৩টায় খিলগাঁও থানা বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর