করোনাভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা করেছে চীন। এখন থেকে এ ভাইরাসটিকে ‘নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া’ বা এনসিপি নামে ডাকা হবে। তবে এটি সাময়িক পরিবর্তন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ নাম ঘোষণা করে। এদিকে করোনভাইরাসের কারণে শনিবার ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চীনের ম‚ল ভ‚খ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১১ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে  করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এরপর থেকে এই ভাইরাসকে অনেকেই শহরটির নামে ডাকা শুরু করেছে। যা শহরটির বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর হিসেবে দেখা হচ্ছিল। ফলে সাময়িকভাবে ভাইরাসটির নতুন নাম ‘নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া’ রাখা হয়েছে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়। সিনহুয়া এখবর জানায়। অপর এক খবরে বলা হয়, চীনের পর করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ হচ্ছে জাপান। ওই দেশে অন্তত ৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ইয়োকোহামা বন্দরে যাত্রীবাহী প্রমোদতরীতে কোয়ারাইন্টানে রয়েছেন ৬০ জনের বেশি। এরপরের অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ জন। এছাড়া থাইল্যান্ডে ৩২ ও হংকংয়ে আক্রান্ত রয়েছেন ২৬ জন। এসব দেশ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫, তাইওয়ানে ১৭, মালয়েশিয়ায় ১৬, অস্ট্রেলিয়ায় ১৫, জার্মানিতে ১৩ ও ভিয়েতনামে ১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ২০০২-০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের মৃতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন রোববার জানিয়েছে, সবমিলিয়ে দেশটিতে ৩৭ হাজার ১৯৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৬৫৬ জন। মারা যাওয়া ও আক্রান্ত হওয়া এসব ব্যক্তির অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। চীন থেকেই ছড়িয়েছিল এই সার্স ভাইরাস। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নতুন করোনাভাইরাসে চীনে ম‚ল ভ‚খ রবাইরে কেবল দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একজন হংকংয়ে ও একজন ফিলিপাইনে। এদিকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে এই করোনাভাইরাসে। ইতোমধ্যেই দুই ডজনের বেশি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তবে সা¤প্রতিক দিনগুলোতে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা স্থিতিশীল হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে উহানের পরিস্থিতি এখনও খুব খারাপ বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। রয়টার্স, বিবিসি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর