ভোলায় কলেজে গণধর্ষণের শিকার নারী, আটক ১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলায় কলেজ ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। ওই নারীকে হালিমা খাতুন কলেজের পেছনে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে কয়েকজন।

ধর্ষকদের কবল থেকে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে বুধবার রাত ৯টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তির প্রায় আধাঘণ্টা পর তার জ্ঞান ফেরে। তিনি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করেন।

ঘটনার পরই অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাতেই থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম হাসপাতালে এসে নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করে। এছাড়া এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

ওই নারী জানান, রাত সাড়ে ৮টায় মিয়ারহাট থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বাংলাবাজারের উদ্দেশে রওনা করেন। অটোরিকশাটি হালিমা খাতুন কলেজের সামনে এলে চালক কিছু কেনার জন্য পাশের দোকানে যান। অটোতে তিনি একাই ছিলেন। এ সুযোগে কলেজের সামনে থাকা সোহাগ ও মনজুরসহ চার যুবক তাকে হাত-পা বেঁধে কলেজের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারীর মুখের বাঁধন খুলে গেলে চিৎকার করতে করতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। চিৎকার শুনে লোকজন এলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। সন্দেহভাজন ধর্ষক ওই কলেজের অফিস সহকারী শাহীনসহ কয়েকজন বলে জানান নির্যাতিতা নারী।

তবে কলেজ অধ্যক্ষ মো. নূরে আলম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার কলেজের কেউ এ ঘটনায় দায়ী নন বলে তিনি দাবি করেন। ওই নারীকে উদ্ধার করা স্থানীয় দোকানদার সাহিদুল সরকার জানান, কলেজের ভেতর চিৎকার শুনে তারা ছুটে এসে দেখেন অজ্ঞান অবস্থায় ওই নারী পড়ে আছেন। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা কলেজের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়।

অটোচালক গিয়াস উদ্দিন জানান, তিনি চিপস কিনতে পাশের দোকানে যান। পরে চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখেন কলেজের মধ্যে ওই নারী পড়ে আছেন। ভোলা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স দেবী মল্লিক জানান, নির্যাতিতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. গোলাম রাব্বী জানান, রোগীকে সুস্থ করার জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনী চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দৌলতখান থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সব আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। ওসি আরও জানান, ধর্ষকদের দু’জনকে শনাক্ত করা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই একজনকে আটক করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর