৫০ বছর বয়সে সন্তান নিতে চাচ্ছেন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আমরা অনেকেই ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ সম্পর্কে অবগত আছি। বায়োলজিক্যাল ক্লক অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে বয়সের ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে প্রজনন প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। কারণ সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে বয়সের উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে এনেছে এই প্রজনন প্রযুক্তি। এর কল্যাণে এখন অনেকেই ৪০ কিংবা ৫০ বছর বয়সেও বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতে পারছেন।

আপনার বয়স যদি ৫০ হয় এবং আপনি যদি এই বয়সেও বাচ্চা নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করেন, কিছু তথ্য জেনে রাখা খুব জরুরি।

শেষ বয়সে বাচ্চা নেওয়ার সুবিধা কী?

অধিকাংশ দম্পতির ২০-৩০ বছরের মধ্যেই সন্তান নেওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। অনেকেই আবার প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেন।

কিংবা আপনি হয়তো ক্যারিয়ার, ট্রাভেলিং ইত্যাদিসহ নিজের স্বীয় সত্ত্বা নিয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আর এজন্যই বিয়ে বা সন্তান নেওয়ার কাজটা করতে করতে জীবনের মিটারে বয়সের পারদ উপরে উঠতেই থাকে। অথবা এমনও হতে পারে যে, শেষ বয়সে এসে আপনি জীবনসঙ্গী পেয়ে গেলেন এবং বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

আদতে এমন অনেক লোক আছে যারা তরুণ বয়সে বাচ্চাকাচ্চাদের তেমন একটা পছন্দ করে না, কিন্তু বয়সের সাথে সাথে তাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন হয়। এছাড়া ৪০ বা ৫০ বছর বয়সে একজন মানুষ যথেষ্ট অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এবং মানসিকভাবে স্থিতিশীলতা অর্জন করে, যা শিশুদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটাকে অনেক সহজ করে তুলে।

প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এবং দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে দীর্ঘ সময় বিরতি নেওয়ারও অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন- ততদিনে প্রথম সন্তান তার সদ্যজন্ম নেওয়া ভাই/বোনের প্রতি যত্নশীল এবং দায়িত্বশীল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।

কিন্তু কিছু অসুবিধাও বিবেচনায় আনা উচিত। এই বয়সে বাচ্চা নেওয়ার অনেক সুবিধা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে অনেক অসুবিধাও। কারণ এই বয়সি নারীরা গর্ভাবস্থায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন।

৪০-৫০ বছর বয়সে বাচ্চা নেওয়ার ঝুঁকিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-

* প্রিক্ল্যাম্পসিয়া (গর্ভাবস্থায় এক ধরনের উচ্চ রক্তচাপ, যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে)
* গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস
* এক্টোপিক প্রেগনেন্সি (যখন ডিম্বাণু আপনার জরায়ুর বাইরে সংযুক্ত থাকে)
* সিজারিয়ান ডেলিভারির উচ্চ ঝুঁকি
* গর্ভপাত
* মৃতসন্তান প্রসব

অনেক মহিলাই আছেন যারা শেষ বয়সে শুধুমাত্র অবসর উপভোগের জন্য বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের জন্য একটি উপদেশ, এত বড় একটি ঝুঁকি না নিয়ে বরং ট্রাভেলিং বা নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েও কিন্তু আপনি অবসর উপভোগ করতে পারেন। কারণ মায়ের বয়স যত বেশি হবে (৩৫ এর বেশি) সন্তানের ঝুঁকি ততো বাড়বে। ৪০-৫০ বছর বয়সে জন্ম দেওয়া শিশুরা যেসব ঝুঁকির মধ্যে থাকে সেগুলো হলো-

* লার্নিং ডিজঅ্যাবিলিটি
* জন্মত্রুটি বা বিকলঙ্গতা
* ক্রোমোজমজনিত সমস্যা যেমন ডাউন সিনড্রোম
* অনেক কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ

তাই এই বয়সে বাচ্চা নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে শলাপরামর্শ করে নেয়া উচিত। তারা আপনার এবং অনাগত সন্তানের ঝুঁকি ও আপনার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বিবেচনা করে আপনাকে সঠিক পরামর্শগুলোই দিবেন।

কীভাবে ৫০’এও গর্ভবতী হবেন?

জীববিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে, আমাদের শরীরে সারা জীবনে যতগুলো ডিম্বাণু থাকবে ঠিক ততগুলো নিয়েই কিন্তু আমরা জন্মগ্রহণ করি। পরবর্তীতে বয়ঃসন্ধি কালের সময় যখন মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হয় তখন সাধারণত প্রতি মাসিকের সময় একটি করে পরিপক্ক ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়ে থাকে। তবে শরীরে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমতে থাকার পরিসংখ্যান কিন্তু আরেকটু চমকপ্রদ তথ্য প্রদান করে। আর সেটা হলো, ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি বছর ডিম্বাণুর সংখ্যা অনেক বেশি আকারেই কমে যেতে থাকে।

এমনকি এটা ধারণা করা হয় যে, ৫১ বছরের সময় গড়ে প্রত্যেক নারীর শরীরে মাত্র ১০০০ ডিম্বাণু কোষ থাকে। এই কমে যাওয়ার সংখ্যাটি কিন্তু খুবই আশ্চর্যজনক, কেননা বয়ঃসন্ধিকালে এর পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ থাকলেও মধ্যবয়সে (৩০ বছরের দিকে) এর সংখ্যার পরিমাণ চলে আসে প্রায় ২৫ হাজারের ঘরে। ডিম্বাণুর সংখ্যা অনেক কম থাকার পরেও গর্ভধারণ কিন্তু একেবারেই অসম্ভব নয়। ব্যাপারটা হয়তো এমন হবে যে, গর্ভধারণ করার জন্য একটু বেশি সময় লাগবে অথবা আপনাকে একটু বেশি বেশিই এই বিষয়ক জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে।

সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডিম্বাণুর গুণমান হ্রাস পেতে থাকে, যা বেশি বয়সে গর্ভধারণকে কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এক্ষেত্রে ক্রোমসোমাল অস্বাভাবিকতাসহ গর্ভপাত পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
তাই যদি আপনার বয়স ৩৫ এর বেশি হয় এবং আপনি স্বভাবিকভাবেই সন্তান জন্ম দিতে চান তাহলে অবশ্যই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যদি ৫০ এর ঘরে গিয়েও আপনি বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবেন তাহলে অবশ্যই একজন প্রজনন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন। এক্ষেত্রে তিনি আপনাকে শুরুতে ডিম্বাণুর গুণমান বাড়ানোর ওষুধ এবং ডিম্বস্ফোটন নিশ্চিত করার ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন। পেরিমেনোপজের সময় যখন আপনার স্বাভাবিক ঋতুস্রাব ব্যাহত হয় তখন এই ওষুধগুলো বিশেষ কাজে দিতে পারে। কখনো কখনো, এই ওষুধগুলো সেবনের পর অল্প সময়ের মধ্যেই সফল গর্ভধারণের জন্য সক্ষমতা অর্জন করা যায়। উল্লেখ্য যে, এই ওষুধগুলোর জন্য পরিপক্ক ডিম্বাণুর সংখ্যা বাড়ে। ফলে শুক্রাণুর পক্ষে লক্ষ্য স্থির করা সহজ হয়।

আপনার যদি স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণে সমস্যা হয় তাহলে আপনার প্রজনন বিশেষজ্ঞ আপনাকে অন্যান্য বিকল্প পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেবে। যেমন- ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ, হিমায়িত ডিম্বাণু, গর্ভ ভাড়া করা।

ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ: এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে কৃত্রিম উপায়ে সংগৃহীত শুক্রাণুর দিয়ে নিষিক্ত করে তারপর আপনার জরায়ুতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে। ডিম্বাণু সংগ্রহের সময় একাধিক ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়, কারণ সব ডিম্বাণুরই যে নিষিক্ত হওয়ার সক্ষমতা আছে এমন নয়। এমনও হতে পারে আইভিএফ এর প্রথম রাউন্ড করার পর আপনার একটা ডিম্বাণুও নিষিক্ত হয়নি অথবা এক বা একাধিক হয়েছে। এবং সর্বোৎকৃষ্ট ভ্রুণটিই আপনার সম্ভাব্য সন্তান হবে।

এই প্রক্রিয়াটি কতটুক যুক্তিসঙ্গত সে তর্কে আমরা যাচ্ছি না। তবে আইএভিএফ প্রক্রিয়ায় নিষিক্ত ভ্রূণগুলোর জিনগত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সবচেয়ে গুণমান সম্পন্নটিকেই বেছে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি অনেক ব্যয়বহুল এবং শতভাগ সফলতা পাওয়ার গ্যারান্টিও দিতে পারেন না প্রজনন বিশেষজ্ঞরা। তবে যেহেতু সেরা ভ্রুণটিকেই বেছে নেওয়া হয় সেজন্যই গর্ভাবস্থায় সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি থাকে।

হিমায়িত ডিম্বাণুর ব্যবহার: হিমায়িত ডিম্বাণু ব্যবহার করেও আপনি শেষ বয়সে সন্তান নিতে পারেন। অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সে যখন আপনার ডিম্বাণুর গুণমান ঠিক থাকে তখন ডিম্বাণু সংগ্রহ করে হিমায়িত অবস্থায় সংরক্ষণ করা যায়। এই প্রক্রিয়াটিকেও আইএভিএফই বলা যায়। তবে এ প্রক্রিয়াতেও সফলতার শতভাগ গ্যারান্টি নেই। কারণ সংরক্ষিত ডিম্বাণুর গুণমান নিশ্চই এতোদিন একদম শতভাগ ঠিক থাকবে না।

গর্ভ ভাড়া করা: ৫০ বা এর বেশি বয়সে ডিম্বাণু নিষিক্ত করার অক্ষমতা, নিষেকের অভাব এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি থাকায় আপনি অন্যকোনো মহিলার গর্ভ ভাড়া করতে পারেন। এই মহিলাদের সাধারণত ক্যারিয়ার বা বাহক বলা হয়ে থাকে। আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার ডিম্বাণু এবং কাঙ্ক্ষিত শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত ভ্রুণটিকে ক্যারিরার মহিলার জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। অর্থাৎ আপনার হয়ে ক্যারিয়ার মহিলাটি আপনার সন্তান তার গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেয় শুধু।

গর্ভাবস্থার লক্ষণ এবং মেনোপজের মধ্যে পার্থক্য এ বয়সে গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলো মেনোপজের মতো হতে পারে। যেমন  মেজাজ পরিবর্তন এবং অবসাদবোধ করা- এটি পিরিয়ডের সময় আসার ইঙ্গিতও দিতে পারে।

মনে রাখবেন, একটানা ১২ মাস পর্যন্ত পিরিয়ড বন্ধ না থাকলে প্রকৃত মেনোপজ ঘটে না। যদি মাঝে মধ্যে আপনার পিরিয়ড হয় আবার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনি পেরিমেনোপজ পর্যায়ে থাকতে পারেন, ফলে ধরে নিতে হবে আপনার ডিম্বাশয়ে এখনও গর্ভধারণের মতো ডিম্বাণু আছে। যতোদিন আপনার নিয়মিত পিরিয়ড হবে আপনি সন্তান নেওয়ার জন্য উপযুক্ত থাকবেন। তাই গর্ভধারণের আগে পিরিয়ডের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নেওয়া খুব জরুরি।

অধিক বয়সে গর্ভাবস্থা কেমন হবে?

আপনার বয়স হিসাব করে আপনার ভেতর অন্য আরেকটা মানুষকে ধারণ করাটা নিশ্চয়ই আপনার জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। এই বয়সে গর্ভাবস্থায় আপনি যে সমস্যাগুলো সম্মুখীন হতে পারেন-

* অতিরিক্ত অবসাদ
* পেশী সংকুচিত হয়ে যাওয়া
* হাড় এবং গিটে ব্যথা
* পা এবং পায়ের পাতা ফুলে উঠা
* বিরক্তিবোধ এবং হতাশা

তবে প্রত্যেক গর্ভবতী মায়েরই নিজস্ব কিছু অস্বস্তি বা সমস্যা থাকে। মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি গর্ভাবস্থাই ভিন্ন। আপনি যদি প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হোন তাহলে খোলামেলা মনোভাব বজায় রেখে অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলুন, পরামর্শ নিন এবং সমসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। সর্বোপরি, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এই বয়সে গর্ভধারণ ও প্রসব সম্পর্কিত বিশেষ কোনো উদ্বেগ রয়েছে?

৫০ বছর বয়সের পর গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতার ঝুঁকি বেশি থাকে। আপনার বয়স বিবেচনায় এবং প্রজনন জনিত চিকিৎসার কারণে খুব সম্ভবত আপনাকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হতে পারে, যা আপনাকে প্রিক্ল্যাম্পসিয়াতে ভোগার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

সিজার অপারেশন করার আরেকটা কারণ হতে পারে প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, এটি একটি জটিল অবস্থা যখন গর্ভাবস্থায় গর্ভফুলটি জরায়ুর একদম নিচের দিকে বা জরায়ুমুখে লেগে থাকে। এছাড়া প্রিম্যাচিউর ডেলিভারির উচ্চ ঝুঁকি থাকে, এর ফলেও সিজার অপারেশন করা লাগতে পারে। তবে ডাক্তার যদি আপনাকে স্বাভাবিক জন্মদানের অনুমতি দেয়ও তবু রক্তপাতের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে তারা আপনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে।

শেষ কথা পঞ্চাশের দশকে পা রেখে সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি একটু জটিল। যেহেতু ৪০ বা ৫০ এর দশকে ডিম্বাণুর সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেতে থাকে। তবে আপনার যদি একান্তই ইচ্ছাশক্তি থাকে এবং আপনি যদি অবিচল থাকেন তাহলে ‘খুব দেরি হয়ে গেছে’ এমন ভাবার কিছুই নেই। আপনার জন্য বিকল্প অনেক পদ্ধতিও আছে। তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আপনার শারীরিক অবস্থা এবং বয়স বিবেচনা করে তিনি আপনাকে প্রজনন বিশেষজ্ঞ কারো কাছে রেফার করতে পারেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর