ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিবই অধিনায়ক থাকবেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনেক দূরের পথ। পরবর্তী আসর ২০২৩ সালে, ভারতের মাটিতে। ওই বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই এত দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বেশি সময় পাওয়া যাবে না। চলতি বছরেরই অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে এই বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশের মূল ভাবনাটা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার আছেন আইসিসির নিষেধাজ্ঞায়। তার এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। তার পরের এক বছর স্থগিত দণ্ড। ফলে ২০২০ সালের শেষভাগেই তিনি খেলায় ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে তারও ১১ দিন পর। সেক্ষেত্রে বাছাইপর্বে তো খেলা হবেই না, মূলপর্বে বাংলাদেশ জায়গা করে নিলেও কয়েকটি ম্যাচ মিস করবেন এই অলরাউন্ডার।

তাই সাকিবের নেতৃত্ব নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও মানছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনিশ্চিত সাকিব। সে অনুযায়ীই পরিকল্পনা সাজানোর চিন্তা বিসিবির।

পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হলো সাকিব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কবে মাঠে ফিরছে সেটা দেখতে হবে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের বাছাই পর্বে খেলতে হচ্ছে। বাছাই পর্বের খেলার সময় পর্যন্তও তার নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তাই বাছাই পর্বে সে খেলতে পারছে না। বাছাই পর্বে টিকে যাওয়ার পর আমরা যদি বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাই, তখনো সে কয়েকটা ম্যাচে থাকতে পারবে না। সম্ভবত সেই সময় তিনটা ম্যাচে সে থাকতে পারছে না। ওই সময় তো আমাদের অন্য অধিনায়ক থাকছে। তাছাড়া সেই সময়ে কোনো ধরনের ম্যাচ প্রাকটিস ছাড়া সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কিনা- সে বিষয়ে তার সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্ব অনিশ্চিত।’

তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ যেহেতু ২০২৩ সালে, সেটাতে সাকিব থাকবেন বলেই আশা করছেন পাপন। এবং ফর্মে থাকলে তিনি অধিনায়কও থাকবেন, জানিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি। তার ভাষায়, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে সে যদি ফর্মে থাকে, আগে ক্রিকেটার সাকিব যেরকম ছিল তেমন থাকে-তাহলে অবশ্যই সে থাকবে এবং অধিনায়ক হিসেবেই থাকবে। ও তো ছিলই (অধিনায়ক)।’

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর